নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
২০১৩-র ৩০ মে। সকাল বেলা নিউজ চ্যানেল খুলেই চমকে উঠেছিল সিনেপ্রেমী বাঙালি। ঋতুপর্ণ ঘোষ নেই। ইন্ডাস্ট্রির ঋতু’দা নেই!… অনুরাগীদের চোখের জলে সেদিন অস্ত গিয়েছিল একটি ঋতু। তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষ। একটি স্তম্ভ, একটি অধ্যায়, একটি তারা, সর্বোপরি একটি নাম। তাঁর অনায়াস লেখনী, সুদূরপ্রসারী ভাবনা, দক্ষ পরিচালনা তাঁকে একটি পিলার করে তুলেছিল।
একটি ঋতু যেমন অন্য সব ঋতুর থেকে আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ থাকে তেমনি ঋতু’দা থুড়ি ঋতুপর্ণ ঘোষও অন্য সকলের থেকে এক্কেবারে আলাদা বৈচিত্র আর বৈশিষ্ট্যে ছিলেন সমৃদ্ধ, যা আজও ভোলেনি আপামর বাঙালি। শুধু বাঙালি কেন বাংলার বাইরেও তিনি জ্বলজ্বল করেন নক্ষত্রদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।
শুধুই ভাল পরিচালক কিংবা ভাল অভিনেতা বা ভাল লেখক ছিলেন না, তাঁর নৃত্যশৈলীও ছিল অপূর্ব। গান গাইতেন দরাজ কণ্ঠে। বৈশিষ্ট্যের শেষ এখানেই নয়। জনদরদী ছিলেন তিনি। সকলের প্রতি ছিল অপার ভালোবাসা। অন্যের দুঃখে চোখে জল আসত মানুষটির।
চরিত্রের প্রয়োজনে নিজের ওয়ার্ড রোব খুলে দিতেন আর্টিস্টদের কস্টিউম সরবরাহ করতে। এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী দেবযানী চট্টোপাধ্যায়। একবার তাঁর সঙ্গেও ঘটেছিল এমনটাই। আর তাই আজ তাঁর অস্তাচলে যাওয়ার দিনে আবেগঘন স্মৃতি আওড়ে অভিনেত্রী দিয়েছেন একটি পোস্ট।
আরও পড়ুনঃ থামল না নোবেল ঝড়
তিনি লিখেছেন- “তোমার মতন কেউ আপন করে নিতে পারত না। কী করে ভুলি, গানের ওপারে আমার প্রথম। দিনের শুটিঙে তুমি তোমার নিজের পোশাক দিয়ে দিয়েছিলে। তোমার বাড়ি থেকে, তোমার পার্সোনাল ওয়ার্ড রোব খুলে। তোমার থেকেই শিখেছিলাম কথাটা- ‘অনেক আদর’। ঋতু’দা…তোমায় ভুলব না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584