গ্রামের দুর্গা দেবী দেশকী  মাতা

0
74

শ্যামল রায়,কালনাঃ

অভিনব কাহিনী নিয়ে দুর্গা দেবী মর্তে অবতরণ করে থাকে।এরকম এক কাহিনী রয়েছে মন্তেশ্বরের কাই গ্রামের দুর্গা পুজো ঘিরে।এখানে দেবী দেশকী মাতা হিসেবে সকলের কাছে পরিচিতি।আর নবমীতে দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয় মাগুর মাছের ভোগ।এদিনই হয় অনন মহোৎসব ।
অনন প্রসাদ খেতে গ্রাম ও শহর থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই পুজো উৎসবে।
কালনা শহর থেকে মন্তেশ্বর এর কাইগ্রাম এর দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার।মামুদপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই গ্রামটির বেশিরভাগ মানুষই চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত থাকেন।গ্রামের সব থেকে বড় উৎসব এখানকার দুর্গাপুজো। আশ্বিনের পাকা ধান ঘরে উঠতেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দেন গ্রামের বাসিন্দারা।
ঘরে ঘরে তৈরি হয় খই মুড়ি আর নারিকেলের সন্দেশ।
কথিত আছে যে ৪০০ বছরের অধিককাল সময় ধরে মন্তেশ্বরের কাই গ্রামের দুর্গা পুজো হয়ে আসছে।
এই দুর্গাপুজো দেশকী  মাতা নামে সকলেই চিনে থাকে।এক সময়ে ব্রহ্মচারী পরিবারের আর্থিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় এই পরিবারের সদস্যরা পুজো বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু প্রাচীন ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা।অর্থাৎ গ্রামবাসীদের যৌথ উদ্যোগে এই দেবীর আরাধনা শুরু হয়।মাটির আট চালায় প্রতিবছর দুর্গাপূজা করেন গ্রামবাসীরা।গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে পুরনো রেওয়াজ অনুযায়ী পুজো হয় বৈষ্ণব মতে।এই পুজোয় পশু বলি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
নবমীর দিন দেবীকে দেওয়া হয় মাগুর মাছের ভোগ।এদিন রাতে যাত্রাপালার আসর বসে গ্রামের বসু পরিবারের পুজো দেশ কী মাতার পুজো নামে গ্রামে পরিচিতি।
দশমীর দিন সন্ধ্যায় দেবী দুর্গাকে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।বিজয় রাতে দেবী নিয়ে চলে শোভাযাত্রা।গ্রামের ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতেই দেশ কি মাতার পুজো হয়ে আসছে।এই পুজো টিকিয়ে রাখতে এলাকার মানুষ সম্পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা করে থাকে বলে জানিয়েছেন রাজীব লোচন চক্রবর্তী নামে এক বাসিন্দা।তাই পুজো ঘিরে প্রস্তুতি চলছে শেষ পর্যায়ে ,আর শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

আরও পড়ুনঃ কালচারাল ফোরামের উদ্যোগে শারদীয়ার নৃত্য সংগীত আসর

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here