উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
দাগী দুষ্কৃতীদের ধরছে না কেন পুলিশ। বাংলায় এসে আগেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নির্বাচন কমিশন। কলকাতার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার মহানগরীর শান্তি ফেরাতে পুলিশ প্রশাসনকে এক প্রকার চোখ রাঙানি দিল কমিশন।
কারণ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে বদ্ধপরিকর তারা। প্রয়োজনে বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তও নিজেদের হাতে রাখতে চায় তারা। এবার কলকাতায় কেন এত রাজনৈতিক হিংসা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কমিশন।শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে। জানতে চাওয়া হয়, রাজ্যের রাজধানী হওয়া সত্ত্বেও এখানে কেন এত রাজনৈতিক হিংসা হচ্ছে ? খাস কলকাতায় এই পরিস্থিতি হলে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের পরিস্থিতি কী হবে? জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ নতুন ভোটারের সংখ্যা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেল রাজ্যের ৫ সীমান্তবর্তী জেলায়
জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা থাকা সত্ত্বেও কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। কেন শান্তি ফেরানো যাচ্ছে না এই মহানগরীর? এরপরই কমিশন নির্দেশ দেয়, কলকাতায় অবিলম্বে শান্তি ফেরাতে হবে। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারেন তেমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সবমিলিয়ে কলকাতার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কমিশনের কড়া প্রশ্নমালার মুখে পড়লেন পুলিশ কমিশনার।
এবারের ভোটে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার হাল ফেরাতে উঠে পড়ে লেগেছে কমিশন। বিগত নির্বাচনগুলির অভিজ্ঞতার নিরিখে এবার হিংসা ঠেকাতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে তারা প্রস্তুত। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের এক কর্তার কথায়, “বিগত ভোটগুলিতে যে হিংসার ছবি রাজ্যে ধরা পড়েছে তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এবার প্রথম থেকেই হাল ধরতে চাইছে কমিশন। উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন রাজ্যে এসেই সেই মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন।”
আরও পড়ুনঃ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন তিনটি পুরসভা গঠনের সিদ্ধান্ত
গত কয়েকদিন আগেই রাজ্যে এসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার। অবিলম্বে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারী পরোয়ানা কার্যকর করতে বলার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলার হাল ফেরাতে যথাসম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুদীপ জৈন। এবার কলকাতার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584