শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
জগদ্ধাত্রী পুজো বলতে আমরা জানি চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো সেইসাথে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো।ইতিমধ্যেই নদীয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে কৃষ্ণনগর শহর কাঁপছে।শুধু কৃষ্ণনগর শহরেই নয় জেলার অন্যত্র জগধাত্রী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
নদীয়া জেলার ভাঙ্গা রসের শান্তিপুরে ও জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনা এলাকাবাসীর মধ্যে।শান্তিপুরের জগদ্ধাত্রী পুজো বহন করে শতবর্ষের ঐতিহ্য।কথিত আছে প্রায় দু’শো বছর আগে শান্তিপুরের ব্রহ্ম’ শাসনে চন্দ্র সূর তর্কচূড়ামণি হাতে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছিল।
আর সেখানে এক সময় ১০০জন ব্রাহ্মণ কে বসবাসের জন্য জমি দিয়েছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পৌত্র গিরিশ চন্দ্র রায়।তাদেরই একজন ছিলেন চন্দ্রচূড়।ব্রহ্ম শাসনে পঞ্চমুন্ডির আসন এ সাধনা করতেন। কথিত আছে যে ধ্যানমগ্ন অবস্থাতেই তিনি দেবীমুর্তির দর্শন পান।আর সেখান থেকেই শুরু হয়ে যায় জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা।শান্তিপুরের একাধিক জগদ্ধাত্রী পুজো ঐতিহ্য সমৃদ্ধ যা হার মানাবে আজকের থিম পুজো কে।চড়কতলা বারোয়ারি পুজো প্রায় আড়াইশো বছরের বেশি সময়ের বলেই জানাচ্ছেন ওই এলাকার মানুষজন।শান্তিপুরের পীরেরহাট বারোয়ারি পুজো প্রায় তিনশো বছরের পুরনো বলে কথিত।পীরের মাজারের পাশেই হয় এই পুজো।আবার ১৬৫বছরের সুতোর পাড়া বারোয়ারির পুজোর প্রতিমার রং অরুণ লাল বর্ণের।সূর্যোদয়ের সময় আকাশের যে রঙ হয় সেই রং-ই প্রতিমার গায়ে দেয়া হয়ে থাকে।
সূত্রধর সম্প্রদায়ের মানুষ এই পুজোর সূচনা করেছিল।এখানে দেবীকে দেওয়া হয় কাঁচা ভোগ। নতুন পাড়া ষষ্ঠী তলা রঘুনাথপুর স্ট্রিটের আমরা সবাই এর পুজো এলাকার মহিলাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মহাসমারোহে ছটপুজো পালন বাঁকুড়াতে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584