কৃষক বন্ধু প্রকল্প ঘিরে বাড়ছে প্রত্যাশা

0
385

সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঃ

দিনের পর দিন ক্ষতির মুখে পড়ে চাষ থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন বহুচাষি। কখনো আবার দেনার দায়ে আত্মঘাতি হচ্ছেন অনেকে।কৃষকদের স্বার্থে নতুন কর্মসুচি শুরু করলো রাজ্য সরকার । কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটানো যাবে বলে সরকারের দাবি।

Expectation Growing on Krishak bandhu Project
নিজস্ব চিত্র

দক্ষিন ২৪ পরগনার ২৯ টি ব্লকের ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল।
চাষিদের চাষ আবাদ নিয়ে সমস্যা দীর্ঘদিনের । এমনকি কৃষকরা আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়। ২০১৬ সালে ডায়মন্ড হারবার দুনম্বর ব্লকে অতিবৃষ্টির জেরে ক্ষতির মুখে পরে খরিফ ও রবি চাষিরা । সরকারি ক্ষতিপুরন পেলেও একটা সময় চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে ছিলেন অনেক চাষি ।

Expectation Growing on Krishak bandhu Project
নিজস্ব চিত্র

সেই চাষিদের কথা মাথায় রেখে চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় কৃষক বন্ধু প্রকল্প।ফলে চাষিদের লম্বা লাইন।জেলার ৩১০ টি গ্রামের মধ্যে ডায়মন্ড হারবার দুনম্বর ব্লকের সরিষা গ্রাম পঞ্চায়েত,দক্ষিন সুন্দরবনের কাকদ্বীপ ব্লকের ঋষি বম্কিমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েত ও নামখানা ব্লকের নামখানা গ্রামপঞ্চায়েত কৃষকদের কথা মাথায় রেখে শুরু এই কৃষকবন্ধু প্রকল্প।তিন একর চাষযোগ্য জায়গার জন্য চাষি পাবেন পাঁচ হাজার টাকা,সর্বনিম্ন পাবেন এক হাজার টাকা।রবি ও খরিফ শস্য মিলিয়ে দেওয়া হবে টাকা । এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় আরো সুবিধা পাবেন চাষিরা। স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটলে পাবেন ২লক্ষ টাকা। তবে চাষীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।সঠিক কাগজ পত্র ছাড়া চাষিরা এই প্রকল্প সুবিধা পাবেন না। ডায়মন্ড হারবারের সরিষায় ইতিমধ্যে পাঁচশর বেশি ফর্ম জমা দিয়েছেন চাষিরা। অন্যদিকে রেকর্ড সংখ্যক কৃষক কাকদ্বীপের ঋষি বম্কিম চন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতে।এই পঞ্চায়েতে রয়েছে ২০ টি সংসদে ৩৭০০ চাষির রেকর্ড জমি।

Expectation Growing on Krishak bandhu Project
নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ দিনহাটায় দু’দিনের শ্রমিক মেলার সূচনা

ইতিমধ্যে ২৭০০ ফর্ম জমা দেওয়া শেষ হয়ে গেছে। প্রতিদিন পঞ্চায়েতের সামনে ঠাসা ভিড়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে পঞ্চায়েত থেকে কৃষি দপ্তর কর্মিরদের। কখনো আবার মাইক প্রচার করে ভিড় সামলাতে হচ্ছে। নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চলছে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের কর্মসুচী। নামখানা ব্লকের নামখানা পঞ্চায়েতেরও একই অবস্থা।এই প্রকল্পের আওতায় আসায় অনেকে সুবিধা হবে বলে মনে করছেন চাষিরা।একদিকে কৃষক বাঁচানর চেষ্টা অন্যদিকে ফসল ফলিয়ে রুটিরুজি জোগাড়ের প্রত্যাশা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here