মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
শেষ পর্যন্ত কোচবিহার পুলিশের জালে ধরা পড়ল মোটর সাইকেল চুরির গ্যাং। উদ্ধার হয়েছে ৭ টি মোটর সাইকেলও। আজ কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ। ওই উদ্ধার হওয়া মোটর সাইকেল গুলির মধ্যে ৫ টি কোতোয়ালি থানা এলাকায় ও ২ টি পুন্ডিবাড়ি থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মোটর সাইকেল গুলির মালিকের হদিস করে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তদন্ত করছে পুলিশ। এছাড়াও একটি কালি মন্দির থেকে চুরি হওয়া মায়ের অলংকার উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার সাথে যুক্ত এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, “সম্প্রতি চুরি সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ বৃদ্ধি পেয়েছিল। আর সেই জন্য পুলিশ তৎপর হয়। বাইক চুরির একটি গ্যাং ধরা পড়েছে। উদ্ধার হয়েছে মন্দির থেকে চুরি যাওয়া সোনার অলংকার ও মোটর সাইকেল। সমস্ত অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কাজ চালিয়ে যাবে।”
আরও পড়ুনঃ মাদারিহাটে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মূলত দামি ও নতুন মোটর সাইকেল এই গ্যাংয়ের লক্ষ্য ছিল। চুরির আগে বেশ কিছুদিন নজরদারি চালাত। তারপর সুযোগ বুঝে তা নিয়ে চম্পট দিত দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও অনেক সময় হ্যান্ডেল লক না করে মোটর সাইকেল রেখে গেলেও সহজেই তা চুরি করে নিয়ে যেতে পারত তারা। চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ টিম তৈরি করে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমেই প্রথমে ৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দুজন চুরির মোটর সাইকেল কিনে নেওয়ার সাথে যুক্ত আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মোটর সাইকেল চুরির ওই গ্যাংয়ে কোচবিহার কোতোয়ালি থানা এলাকার আরও দুই অপরাধী মৃণাল সরকার ও সুমন সরকার এখনও পলাতক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও পুন্ডিবাড়ি এলাকার ফারুক রহমান, অজয় কামিত, হাসানুর রহমান, আহমেদ হোসেনও জড়িত বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584