নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
ফের ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ল অভিযুক্ত প্রতারক। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার অন্তর্গত ভোগপুর এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অভিষেক মজুমদার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার ৪০ থেকে ৫০ জনের টাকা আত্মসাৎ করেছে এই অভিযুক্ত। নানারকম প্ররোচনামূলক কথাবার্তা চালিয়ে এলাকাবাসীদের থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছিল সে।
অবশেষে কোলাঘাট থানার ভোগপুর এলাকায় একই পন্থায় কার্যসিদ্ধি করার উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তির সাথে সে দেখা করতে যায়। সেই খবর পেয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সকল প্রতারিত ব্যক্তি মিলে আটক করে অভিষেক মজুমদারকে। এরপর একে একে পর্দাফাঁস হয় তার সকল জালিয়াতির।
জানা গেছে, ব্যাঙ্কের সাথে যুক্ত থাকার মিথ্যা পরিচয় দিয়ে, নানারকম চাটুকারিতার মাধ্যমে বহু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাদের থেকে ক্রেডিট কার্ড নিত ওই অভিযুক্ত। ধীরে ধীরে প্রতারিত এলাকাবাসী বুঝতে পারে যে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।
ভোগপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সূত্রে জানা যায়, তমলুকের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন তিনি এবং তিনি ক্রেডিট কার্ড থেকে সেই সমস্ত ব্যক্তির টাকাই নয়ছয় করেছন, যাদের ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট ছিল।
উপপ্রধানের মাধ্যমে সেই ব্যাঙ্কে খোঁজ নেওয়া হলে তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র পাঠিয়ে দেয়, সেই থেকে তারা নির্ধারিত হন যে এই সেই ব্যক্তি যে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মমতার প্রতিক্রিয়ায় অবাক ইয়েচুরি, বিষ্ময় টুইট সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের
এলাকাবাসীদের সামনে তাকে যখন বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়, তিনি ঘাবড়ে গিয়ে অনেকে প্রশ্নেরই সঠিক জবাব দিতে পারেন না এবং পরে নিজের দোষ স্বীকার করেন। স্বীকার করেন কীভাবে ক্রেডিট কার্ড ল্যাপ্স হয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অনলাইনে পে এটিএম-এর মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করতেন তিনি।
শেষে এ দিন উত্তেজিত এলাকাবাসীর পাতা জালেই ধরা পড়েন অভিষেক মজুমদার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কোলাঘাট থানার পুলিশ উপস্থিত হয় এবং অভিযুক্তকে আটক করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এইরকম ঘটনা ঘটানোর সময় সে কলকাতার কোনও এক কোম্পানির গাড়ি ব্যবহার করত, যাতে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে যে কলকাতা থেকে কোনও ব্যাঙ্কের কর্মী তাদের সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছে।
এভাবেই স্থানীয় মানুষদের অসচেতনতা এবং বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে এত পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার সাহস পেয়েছে সে। তবে এই ঘটনার পর এলাকাবাসী এই বিষয়গুলি নিয়ে বেশ খানিকটা সচেতন এবং তৎপর হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584