নাদিহা বেগম,আরামবাগ,২৬ জুলাইঃ
ভাবা দিঘিতে এবার সরকারী ক্যাম্পে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন ভাবা দিঘি বাঁচাও আন্দোলন কারীরা। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভাবাদিঘি তে ক্যাম্প তৈরি হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাবাদিঘির মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি একটি করে ত্রিপল, ১২ কেজি করে চাল, বাচ্চাদের পোশাক ও বড়দের পোশাক দেওয়া। ক্যাম্পটি তৈরি হয় ভাবাদিঘি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাৎই ভয়ঙ্কর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাবাদিঘির মানুষরা। তারা ক্যাম্পে গিয়ে সমস্ত কিছু তছনছ করে দেয় । ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় জিনিসপত্র। তারা দাবি করেন, স্কুল থেকে এখনই ক্যাম্প তুলে নিয়ে চলে যেতে হবে, তা যদি না করা হয় তাহলে তারা কেউ বাড়ি ফিরবেন না। যদি camp office এখনই তুলে ফেলা না হয় তাহলে সমস্ত মালপত্র স্কুল থেকে বের করে টেনে ফেলে দেওয়া হবে । সমস্ত ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং মহকুমা শাসক লক্ষ্মী ভব্য তানিরু। উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে গোঘাট থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ এসডিওকে উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে বের করে নিয়ে আসে। স্থানীয় মহিলা পুতুল রায় বলেন, যতক্ষণ না সমস্ত ক্যাম্প তুলে নিয়ে প্রশাসন যাবে, ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। ভাবাদিঘি আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুকুমার রায়ের অভিযোগ, প্রশাসন প্রতিদিন স্কুল কে ব্যবহার করে কাজ করে চলেছে । স্কুলের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা হচ্ছে না । বাড়ির মধ্যে প্রশাসনের লোকজন যখন তখন ঢুকে যাচ্ছে। ভাবাদিঘি বিষয়টি কোর্টে বিচারাধীন । কাজেই এখানে প্রশাসনের কোনো হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় । অবস্থা বেগতিক বুঝে প্রশাসনিক কর্তারা ক্যাম্প তুলে নিতে বাধ্য হয়। পরে জানা গিয়েছে, এরপরই মহকুমা শাসক ও এডিএম মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন। সমস্ত ঘটনা যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে করে ভাবাদিঘি রেললাইন ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। এক সময় ভাবাদিঘির মানুষ দাবি করেছিলেন, প্রশাসন দিঘির বদলে দিঘি সহ যে সমস্ত উন্নয়নের কথা বলছে তা করে দেখার ও লিখিত প্রতিশ্রুতি দিক । কিন্তু এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সমস্ত ধরনের প্রশাসনিক উদ্যোগ কে বাধা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে ভাবা দিঘির মানুষ। কিছুতেই তারা নিজেদের জেদ থেকে সরছেন না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584