সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
প্রায় চারশো বছরের পুরনো পূর্ব বর্ধমানের মানকরের ক্ষ্যাপা কালীর পুজোয় দেবীর প্রধান ভোগ মাছের টক আর রুই মাছ ভাজা।দেবীর মন্দিরে কোন ছাদ নেই।কথিত আছে,মানকরের ভুবনেশ্বরী দেবী এই পুজো শুরু করেন।তিনি তাঁর নিজের বাড়ি ও ক্ষ্যাপা কালী মন্দির নির্মাণের কাজ একসাথে শুরু করেন।কিন্তু মন্দিরের ছাদ ঢালাই এর আগে ভুবনেশ্বরী দেবী বাড়ির ছাদ ঢালাই করে ফেলেন।দেবী তাতে রুষ্ট হন।
তারপর থেকে যিনিই দেবীর মন্দিরে ছাদের উদ্যোগ নিয়েছেন তারই মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।তবে দেবী মূর্তি নির্মাণের সময় একটি অস্থায়ী ছাদ তৈরি করা হয় ত্রিপল দিয়ে।মূর্তি গড়া সম্পূর্ণ হলেই তা খুলে নিতে হয়।মন্দিরের পাশে পুকুর থেকে জল এনে দেবীর প্রধান ভোগ রান্নার ব্যবস্থা করা হত।নায়েক পরিবারের কোন এক সদস্য একবার মদ্যপান করে পুকুরে নেমে ছিলেন।স্থানীয় বিশ্বাস,এই কারনে দেবী রুষ্টা হন এবং দুদিন পরেই তাঁর মৃত্যু হয়।স্থানীয় বাসিন্দা অমিতাভ মুখার্জী বলেন,এখানে দেবীর অন্নভোগে রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য।দেবীকে দেওয়া হয় মাছের টক ও মাছা ভাজা।দেবীকে ঘিরে রয়েছে একাধিক জনশ্রুতি।অলিখিত নিয়মে সন্ধের পরে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ নিষেধ সাধারণ মানুষের।প্রবেশে রয়েছে অমঙ্গলের আশঙ্কা।বর্তমানে নায়েক পরিবারের দুই শরিক এই পুজোর আয়োজন করেন।স্থানীয় মানুষদের বক্তব্য,অত্যন্ত জাগ্রত এই ক্ষ্যাপাকালী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584