নেতা সরকারি পদে আসীন,গ্রেটারের বিল বয়কটের আন্দোলনে বিপাকে বিদ্যুৎদফতর

0
67

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

বছরের পর বছর ধরে চলা গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের বিল বয়কট আন্দোলনের জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর।কোচবিহার জেলার মাথাভাঙায় বিদ্যুৎ দফতরের ষ্টেশন ম্যনেজার মাহাবুল হোসেন কয়েক কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে যাওয়ার কথা জানালে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের ওই আন্দোলন নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

নিজস্ব চিত্র

প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সরকারি পদে বসার পরেও কি করে গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মণ ওই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।গ্রেটার আন্দোলনের নেতা বংশীবদন বর্মণ ভারত ভুক্তি চুক্তি অনুসারে ‘গ’ শ্রেনীর রাজ্য কোচবিহার কে কি করে জেলা করা হল,তা জানতে চেয়ে বেশ বিদ্যুৎ বিল বয়কট আন্দোলনের ডাক দেন।ফলে জেলার বহু গ্রেটার সমর্থক বছরের পর বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে দিয়েছেন।শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ দফতর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলেও বাঁধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।ওই আন্দোলন চলাকালীন গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মণ রাজবংশী ভাষা একাডেমী ও রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদের পদে বসেন,কিন্তু রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ার রাস্তা থেকে এখনও সরে দাঁড়ান নি তিনি।বংশীবদন বর্মণ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন,তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও আন্দোলন চলবে।গ্রেটার নেতা বলেন, “চুক্তি মোতাবেক কোচবিহার ‘গ’ শ্রেনীর রাজ্য।কিন্তু কোচবিহারকে কি করে জেলা করা হল?তা সরকার স্পষ্ট করলে আমরা বিদ্যুৎ বিল দিতে রাজী আছি।” এছাড়াও কোচবিহারের রাজার রেখে যাওয়া টাকায় যে উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে, সেখান থেকে জেলার কৃষকদের বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন বংশীবাবু।

নিজস্ব চিত্র

মাথাভাঙার গ্রেটার নেতা সুবল রায় প্রায় একই সুরে বলেন, “ বিদ্যুৎ বিল দেব না, এরকমটা নয়। আমাদের কোচবিহার কি করে ‘গ’ শ্রেনীর রাজ্য থেকে জেলা হল। তা জানালেই আমরা বিদ্যুৎ বিল দিয়ে দেব।” এদিকে লাগাতার চলা ওই আন্দোলনের জেরে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরকে। গোটা জেলা জুড়ে প্রচুর টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে।বিল না দেওয়ার জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে দেখা যাচ্ছে মিটার বক্সে পতাকা লাগিয়ে রেখেছেন গ্রেটার সমর্থকরা। ওই পতাকা সরিয়ে মিটার আনতে গেলে গণ্ডগোল হতে পারে বলে আশঙ্কা করে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা চলে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। বিদ্যুৎ দফতরের মাথাভাঙার স্টেশন ম্যানেজার মাহাবুল হোসেন বলেন, “শুধু মাথাভাঙাতেই ৪ কোটির উপরে বকেয়া পড়ে গিয়েছে।সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারছি না। গোটা বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here