অপেক্ষার অবসান, বেলগড়িয়ার বাড়িতে ফিরল কফিন বন্দী শহীদ রাজেশের দেহ

0
97

পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ

ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৯ টা, গ্রামে এসে পৌঁছল শহীদ রাজেশ ওরাং এর মৃতদেহ। শেষবারের মত রাজেশকে দেখতে পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় জমান বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার অখ্যাত গ্রাম বেলগড়িয়াতে। ভারতীয় সেনাতে কর্তব্যরত অবস্থায় চিনের সাথে যুদ্ধে শহীদ হন বীর যোদ্ধা রাজেশ ওরাং।

martyr indian soldier rajesh | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

গোটা গ্রাম ভারতের জাতীয় পতাকায় ঢেকে দেওয়া হয়। শহীদ বীরের পরিবারের পাশে মানসিক জোর দেওয়ার জন্য শুক্রবার ভোর বেলাতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পাশাপাশি প্রশাসনিক স্তরের সমস্ত রকম কাজ কর্মের নজরদারি করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ সকালেই পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি মত ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। কৃষিমন্ত্রী ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরতাজা যুবক রাজেশ ওরাং -এর মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। অনুব্রত মণ্ডল বলেন বহুবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী চিন সফর করেছেন অথচ সেই চিনের হাতেই আমাদের দেশের কুড়ি জন সেনাকে খুন হতে হল।

আরও পড়ুনঃ চির ঘুমের দেশে শায়িত শহিদ রাজেশ ওরাং

অপদার্থ প্রধানমন্ত্রী এখন কেন চুপ করে বসে আছেন? কেন তিনি চিনের ওপর হামলা করে প্রতিশোধ নিচ্ছেন না, আমরা অপেক্ষায় আছি। কবে তিনি যোগ্য জবাব দেবেন চিনকে। সারা ভারত বর্ষ জুড়ে শুধু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছেন, মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করছেন, সামাজিক শত্রু তৈরি করছে নরেন্দ্র মোদি। ভারতবর্ষে সব ধর্মের মানুষ একে অপরকে বুকে জড়িয়ে বাস করে সেই সুন্দর সমাজকে নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি।

তিনি এও বলেন, অত্যন্ত লজ্জা লাগছে বলতে, বিজেপির মত একটি অপদার্থ দল আমাদের দেশের কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলে দিয়েছেন পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেসের সাংসদ অধীর চৌধুরী, সিপিএমের সাত বারের সাংসদ ডক্টর রামচন্দ্র ডোম।

আরও পড়ুনঃ শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের পরিবারের পাশে মন্ত্রী

সিপিএমের তরফে শহীদের পরিবারকে এক লক্ষ টাকার একটি চেক তুলে দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরলোকগত সৈনিক রাজেশ ওরাংকে সমাধিস্থ করা হয় গ্রামের প্রবেশের মুখে।

পরিবারের তরফে নগেন ওরাং জানান “একদিকে যেমন কষ্ট হচ্ছে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল কিন্তু চির নিদ্রায় শুয়ে, পাশাপাশি গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে দেশের জন্য ঘরের ছেলে প্রাণ দিয়েছে বলে।ভারত সরকারের কাছে একটাই দাবি শুধু রাজেশ নয় তার মত আরও যাদের প্রাণ গিয়েছে এই যুদ্ধে, তার হিসেব যেন সরকার চিনের কাছে বুঝে নেয় সুদে-আসলে।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here