নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
মতুয়া সম্প্রদায় থেকেই আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দাঁড় করানোর দাবি তুলল দক্ষিণ দিনাজপুরের মতুয়া সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষজন। আজ জেলার তপনের চৌরঙ্গী মোড়ে জেলার মতুয়া সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষজনের ডাকা এক ধর্মীয় সভা আয়োজিত হয়।

সেই সভার আগে সংঘের লোকজন একত্রিত হয়ে তপনের বিভিন্ন রাস্তায় ধর্মীয় পদযাত্রায় শামিল হন। প্রায় কয়েক শো মতুয়া সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষজন খোল কর্তাল নিয়ে ভক্তিমূলক নামগানের কীর্তন করতে করতে মিছিল নিয়ে সভা প্রাঙ্গণ স্থলের দিকে এগিয়ে যান।

এ প্রসঙ্গে এই ধর্মীয় সংগঠনের উত্তরবঙ্গ জোনের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক রনজ্যিত সরকার জানান উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ বঙ্গ মিলিয়ে এই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষজন প্রায় তিন কোটি রয়েছেন। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন ১ কোটি। তার অভিযোগ, এই সম্প্রদায়ের মানুষজন চিরকাল বঞ্চিত থেকে গেছে। এতদিন ভোট দেওয়ার পরও তাদের কোন উন্নতি হয়নি বা কেউ এগিয়ে আসেনি।
আরও পড়ুনঃ দেড়শো জন প্রার্থীর তালিকা পাঠাল রাজ্য বিজেপি, রয়েছেন তারকারা
তার আরও অভিযোগ, তারা কোনো রাজনৈতিক দল করেন না। তাই আসন্ন ২১ এর বিধানসভা ভোটে তাদের উন্নতিসাধনের জন্য তাদের মতুয়াসম্প্রদায় থেকে প্রার্থী করবেন। আমরা এবার তাদের ভোট দিয়ে জিতিয়ে বিধানসভায় পাঠাব। সেই লক্ষ্যেই আজ আমরা সভার মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় আলোচনার পাশাপাশি সব কিছু পর্যালোচনা করব বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যসভার সাংসদের উপস্থিতিতে নির্বাচনী সভা জলঙ্গীতে
বাংলায় জাত ও জাতকেন্দ্রিক রাজনীতি কিন্তু একেবারে নতুন নয়। প্রথম এই জাতভিত্তিক রাজনীতির শুরু হচ্ছে ১৮৭০-এর পর। মানে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে একটা সচেতনতা জাগছে নীচের তলার লোকজনের মধ্যে। অপরদিকে আজকের যে মতুয়া আন্দোলন, তার সূত্রপাত ১৮৭২-এ।
১৯৩০-এর দশকে এই আন্দোলনগুলো সংগঠিত হচ্ছে। আর চারের দশকে তৈরি হচ্ছে অল ইন্ডিয়া শিডিউলড কাস্ট ফেডারেশন। এঁদেরই ১৯৩৬-এর আগে বলা হত ‘ডিপ্রেসড ক্লাস’। তখন তাঁদের মনোনীত আসন ছিল। তার পর সীমায়িত ভাবে নির্বাচন শুরু হচ্ছে, ১৯৩৭-এ হচ্ছে প্রথম নির্বাচন বলে এই সম্প্রদায় সূত্রে জানা গেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584