মীর রাকেশ রৌশান
বাংলার লোকসংস্কৃতির অনেক আঙ্গিক আছে তার মধ্যে কিছু আঙ্গিক অবলুপ্ত হয়ে গেছে আর কিছু আঙ্গিক পরিচর্যার অভাবে ধুকছে।এই রকম এক বিলুপ্তপ্রায় ধারা হল আলকাপ।এই আলকাপ একদা দুই বাংলা সহ ঝাড়খণ্ড, বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।ভৌগলিক ভাবে দেখলে আলকাপ মধ্যবঙ্গের লোকসংস্কৃতির আঙ্গিক।তাই আলকাপ মুর্শিদাবাদ, মালদা,বীরভূম, বাংলাদেশের রাজশাহী,বিহারের পূর্ণিয়া জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলাতেও প্রচলিত ছিল।আলকাপের নাম আসলে কেউ বলে লোকগান কেউ বলে লোকনাট্য। আবার আলকাপ শব্দার্থ নিয়ে বিভিন্ন মত আছে।আল= হুল(শ্লেষ,ব্যঙ্গ,বিদ্রুপ) ও কাপ = রসিকতা।অন্যদিকে ‘আল’ শব্দের অর্থ হল ‘কাব্যের অংশ,’ ‘কাপ’ শব্দের অর্থ ‘কাব্য’।আবার ‘আল’ শব্দের একাধিক অর্থের মধ্যে একটি অর্থ হল- তীক্ষ্ণ,তীব্র বা ধারালো।অপর দিকে কাপ শব্দের অর্থ – সং,ব্যঙ্গ,বিদ্রুপ।
সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের মতে ‘আল'(দেশজ অর্থ) রঙ্গ,’কাপ’ কথাটির অর্থ কৌতুককারী, ছলনা।যাইহোক আলকাপ সৃষ্টির ইতিহাস গেলে কে বা কারা আলকাপ সৃষ্টি করেছেন অথবা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল তা জানা যায়নি। অনেকের মতে আলকাপ সৃষ্টি হয়েছিল মালদা জেলার রহিমপুর গ্রামে তবে এটি প্রমাণিত সত্য নয়।একটি লোকশ্রুতি মাত্র।আর আলকাপ কে সৃষ্টি করেছিলো তার কোন দলিল নেই।অনেকের মতে আলকাপ সমষ্টির সৃষ্টি,কোন এক ব্যক্তি বিশেষের নয় এবং কোন এক পরিচালক দ্বারা চালিত।অনেকের মতে ঝুমুর গানের বিবর্ত্তির রূপ আলকাপগান আর তার সাথে সেই সংলগ্ন অঞ্চলের প্রচলিত নাট্য।আলকাপ শুধু গান বা নাটক নয়। আলকাপ গান,নাটক,হাস্যকৌতুক,ছড়া মিলে ১০-১২ জন শিল্পির মিলিত এক শিল্প।প্রথম দিকে আলকাপেও ঝুমুর গানের মত দুই দলের লড়াই হত।যা আক্রমণ প্রতি আক্রমণ,নানা ধরনের ব্যঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গি,কু-অঙ্গভঙ্গি থাকত।কারণ আলকাপে শ্লীলতার গন্ডী মেনে চলা হতনা।সেই কারণে ভদ্রকূলে আলকাপ কোনদিনই গ্রহণযোগ্য ছিলনা।সাধারণত গ্রাম-বাংলার সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের গান ছিলো আলকাপ।কোন গ্রামের কোন পাড়ার বা বাড়ির ফাকা অংশের মধ্যে চৌকি পেতে অথবা প্যান্ডেল করে আলকাপের মঞ্চ সাজানো হত।সাধারণ বিকেল থেকে সন্ধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সন্ধ্যে থেকে ভোর রাত্রি পর্যন্ত চলে আলকাপ গানের আসর।পালা, ছড়া, অভিনয়,মস্করা,ইয়ার্কি দিয়ে গড়া একটি সারা রাতের আসর যা একটি সাধারণ পরিবারের রসের খোরাক যোগাতো।কারণ সেই সময় এতো টিভি,সিডি,রেকর্ডারের প্রচলন ছিলোনা।আলকাপ কোন নিদিষ্ট সম্প্রদায়ের গান ছিলোনা।এটি সার্বজনীন এবং সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলা ও বাঙালি জাতির গান।তাই আলকাপ নিয়ে সমাজের উচ্চপর্যায়ের মানুষের ছুতমার্গ থাকলেও সাধারণ মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাতো। আলকাপ ছাড়া ঝুমুর,ছ্যাচড়,লেটোগান একই ধরনের বলা যেতে পারে।চলন ও ধরনে কিছু কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।যাইহোক প্রসঙ্গ যেহেতু আলকাপ তাই আলকাপ নিয়ে আলোচনা করায় উচিত।প্রত্যেকটি আলকাপ দলে একটি পরিচালক থাকে যাকে আলকাপের ভাষায় ওস্তাদ বলা হয়।তিনি তার দলের আলকাপ গানের রচয়িতা,নাট্যরূপ, রঙ্গব্যঙ্গ এক কথায় সেই দলের ভালোমন্দ সব কিছুর পরামর্শদাতা হলেন ওস্তাদ।তবে গবেষক ডঃ ফণী পালের মতে কোন কোন এলাকায় আবার ওস্তাদদের খলিফা বলা হত।ওই ওস্তাদ বা খলিফারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশি পরিচিত হতেন।কারণ তিনি আলকাপ দলের সর্বময় কর্তা হিসেবে কাজ করেন।দলের যাবতীয় ব্যয়ভার থেকে দল পরিচালনা ওস্তাদ বা খলিফার হাতে ন্যস্ত থাকত।এই ওস্তাদ বা খলিফাদের মধ্যে কিছু বিখ্যাত লোকজন হলেন সঞ্জয় মন্ডল ওরফে ঝাঁকসু(মুর্শিদাবাদ), বসন্ত সরকার(মালদা),সোহরাব খলিফা(মালদা)মকবুল খলিফা(রাজমহল),পেলহাতুন(বীরভূম),মাহাতাবদ্দিন(মুর্শিদাবাদ),কালিপদ দাস,বদু খাঁ(রাজশাহী) প্রভৃতির ব্যক্তির নাম উল্লেখযোগ্য।
তবে আলকাপের অন্যতম বিশেষত্ব হল,প্রত্যেকটি আলকাপ দলে একটি করে ছোকরা বা ছুকরি থাকে। যাদের চালচলন,কথাবার্তা একেবারে মেয়েদের মতন।এই ছোকরা বা ছুকরিরা মেয়ে সেজে অভিনয় করত।যে দলের ছোকরা যত ভালো অভিনয় করত সেই দলের খ্যাতি তত বেশি।আর সেই দলের বায়নাও বেশি হত এবং অনুষ্ঠানও বেশি করত।ঝাকসুর দলের ছোকরা এতো জনপ্রিয় ছিলো যে ঝাকসু তাকে ধরে রাখার জন্য দুই বিঘা জমি পর্যন্ত লিখে দিয়ে ছিলেন।ছোকরা হিসেবে নাম কামিয়েছেন কান্দীর সুধীর দাস,উজ্জ্বল নগরের মাহাতাবউদ্দিন,গয়েসপুরের মাধব ছোকরা প্রমুখ।
এছাড়াও প্রতিটি আলকাপ দলে হাস্যকৌতুক করার জন্য একজন করে ভাড় থাকত।এরা সব সময় দর্শকদের মাতিয়ে রাখত এর ফলে দীর্ঘক্ষণ পালা চললেও দর্শকদের কখনওই একঘেয়েমি লাগত না।এদের কাজ ছিলো দর্শকেদের হাসানো।যে যত বেশি হাসাতে পারত তার চাহিদা তত বেশি।এদের কে আলকাপের ভাষায় কেপে বা ক্যাপা বা কোপ্যা বলা হত।এই কোপ্যালদের মধ্যে একদা খুব নাম ছিলো পাঁচথুপীর কাসেম সেখ,ভগবানগোলার করুণাকান্ত হাজরা প্রমুখ।
এবার আসা যাক আলকাপের মঞ্চতে।আলকাপের মঞ্চ সাধারণ মাঝে হয়,মঞ্চের চারিদিকে দর্শক মাটিতে বা ত্রিপল পেতে বসে।আলকাপ মঞ্চের কোন একপাশে বসে দোহার, নিচে যে কোন একদিকে বসে বাজনাদার বা বাদকদল।তবে পূর্বে আলকাপে এতো বাহুল্য ছিলোনা ঢোল, জুরি আর হারমোনিয়াম দিয়ে কাজ চলত।সময় সাথে সাথে তাল মিলিয়ে আলকাপে ঢোল,জুরির, হারমোনিয়াম সাথে সিন্থেসাইজার,সাইড ড্রাম,তবলা,ডুগি,খঞ্জনি,বাঁশি প্রভৃতি অনেক বাজনার সরাঞ্জাম যুক্ত হয়।আলকাপের শুরুতেই ধুপি কাঠি হাতে(বেশির ভাগ ক্ষেত্রে) ধরে বন্দনা শুরু হয় তারপর ছড়া কেটে মূল বিষয়ের সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় করানো হয়।সাধারণত আলকাপ পালার লোকনাট্যের বিষয় পৌরাণিক অথবা সামাজিক প্রেক্ষাপটের উপর হয়।আলকাপের আলোচনা করলেই দুজন ব্যক্তির নাম না করব ভাবলেও কোন না কোন ভাবে তারা চলে আসবেই।তাঁরা হলেন সঞ্জয় মন্ডল ওরফে ঝাঁকসু এবং সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ।যদিও আলকাপ সমষ্টির গান। এপার বাংলায় ঝাঁকসুকে আলকাপ সম্রাট বলা হয়।তবে এই নিয়ে দ্বিমত আছে।তুলসী চরণ মন্ডল ঝাঁকসুর জীবনী লিখেছেন।সেখানে ঝাঁকসুকে আলকাপ সম্রাট আক্ষা দিয়েছেন।তাঁর গ্রন্থের নামও ” আলকাপ সম্রাট ঝাঁকসু”।আবার মালদহ জেলার মনাকটা গ্রাম( অধুনা বাংলাদেশ)এর বনমালী সরকার কে কেউ কেউ আলকাপ সম্রাট বলে থাকেন।যদিও তাঁর সম্বন্ধ্যে বিস্তারিত গবেষণা সেই অর্থে হয়নি।যতটা ঝাঁকসু কে নিয়ে হয়েছে।ঝাঁকসুর জীবনী নিয়ে কাজ করেছেন ডঃ শক্তিনাথ ঝাঁ, তুলসী চরণ মন্ডল। তবে তুলসী চরণ মন্ডলের বইটা বেশি তথ্যসমৃদ্ধ এবং বিস্তারিত আলোচনা আছে।এছাড়াও কুনাল কান্তি দে ও কিছুটা লেখালিখি করেছেন।যাইহোক অন্যবিষয়ে না গিয়ে মূল বিষয়ে আসা যাক।ঝাঁকসুর আগেও কিছু দারুণ আলকাপ শিল্পী ছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বসন্ত সরকার ও নইমদ্দিন।যদিও ঝাঁকসু এই দুজন কেই তাঁরগুরু হিসেবে মানতেন।লোকসংস্কৃতিবীদ পুলকেন্দু সিংহ এর মতে ঝাঁকসুর সামসময়িক বিখ্যাত আলকাপ শিল্পী ছিলেন পেলহাতুন।তিনি জন্মসূত্রে বীরভূমের(কামারপুর বর্ধনপাড়া) হলেও বেশির কাজ তিনি মুর্শিদাবাদে করেছেন।আলকাপের এই জনপ্রিয় শিল্পী দর্শকদের হাসিয়ে মাত করতেন।
তবে আলকাপকে জনমানুষের কাছে সার্বজনীন ও এই আঙ্গিক কে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছিয়েছেন সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ।তিনি প্রথম জীবনে আলকাপ দলের বাঁশি বাদক ছিলেন এবং খুব ভালো আড় বাশি বাজাতেন।সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ ‘দেশ’ পত্রিকায় নিয়মিত তাঁর আলকাপ জীবনের অভিজ্ঞতা এবং আলকাপ কি ও কেন এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন।সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ আলকাপ শিল্পিদের আলকাপ জীবন ও তাদের যাপিত জীবনের সমস্ত দিক তুলে ধরেছেন তার ‘মায়ামৃদঙ্গ’ গ্রন্থে।তিনি ‘মায়ামৃদঙ্গ’ ছাড়াও ‘নির্জন গঙ্গা’য় চাঁইদের যাপিত জীবনের অনেক দিক তুলে ধরেছেন।বলা বাহুল্য ঝাঁকসু চাই সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন এবং ওস্তাদ ঝাকসুর দলেও একসাথে কাজ করেছেন সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ।এর সাথে এটাও বলা দরকার চাঁইদের আলাদা ভাষা আছে।যা মৈথিলী ভাষার অপভ্রংশ। এই ভাষার ব্যবহার মায়ামৃদঙ্গ ও নির্জন গঙ্গায় পাওয়া যায়।ভাবছেন হঠাৎ চাঁইদের কথা কেন এলো?কারন ঝাঁকসুর সময় আলকাপের বেশির ভাগ শিল্পী চাঁই সম্প্রদায়ের ছিল।যাইহোক তুলসীচরণ মন্ডলের মতে ” সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ ‘মায়ামৃদঙ্গ’ লিখে ওস্তাদ ঝাঁকসুকে শিক্ষিত মহলে,সাহিত্যিক মহলে,সাংস্কৃতিক মহলে একটি স্থায়ী ঐতিহাসিক স্থান করে দিয়েছে।”এই কথার ভিত্তিতে এটাও বলা যায় সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ ও ওস্তাদ ঝাঁকসু মিলে আলকাপ কে সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলেছিলেন।
তবে আশির দশকের পর থেকে আলকাপের ঐতিহ্য কমতে থাকে।পঞ্চরসের প্রচলন শুরু হয়।আর পেশাগত দিকে থেকে সেই সময় পঞ্চরস বেশি লাভজনক ছিলো।যদিও পঞ্চরস আলকাপেরই বিবর্ত্তিত রূপ।আবার পেশাগত দিক থেকে আলকাপ থেকে গম্ভীরা বা অন্য শিল্প জগতে যাওয়ার অনেক উদাহরণও আছে। যেমন জিনদিঘীর চারণ সম্রাট গুমানি দেওয়ান ও আলকাপের সাথে যুক্তছিলেন কিন্ত তিনি পরবর্তীতে আধুনিক কবিগানের জনক হন।সৈয়দ মুস্তফা সিরাজই তাঁকে চারণ সম্রাট আখ্যা দেন।আবার বহরমপুরের গঙ্গার এপারে মাজের পাড়ার আফাজদ্দিন মন্ডল প্রথম জীবনে আলকাপের সাথে যুক্ত থাকলেও পরবর্তীকালে একজন বিখ্যাত চারণ কবি।আফাজদ্দিন মন্ডলের জন্য বলা যেতে পারে গুমানি দেওয়া, লম্বধরের পরে যদি কেউ খ্যাতনামা কবিয়াল হন তাহলে আফাজদ্দিন মন্ডলের নাম আসবে।ফিরে আসি আবার আলকাপে।আলকাপের শেষ খ্যাতনাম শিল্পী হয়তো মাহাতাবউদ্দিন ওরফে মাহাতাব।তবে তাঁর পঞ্চরস শিল্পি হিসেব খ্যাতি বেশি ছিলো।আশির দশকের পর থেকে পঞ্চরসের আবির্ভাব, টেলিভিশন, সিনেমার ব্যবহার আর মানুষের বিনোদনের জায়গাবদল হওয়ার ফলে এই লোকনাট্য বলুন বা লোকগান বলুন আলকাপ ধুঁকতে শুরু করে।কিছু মানুষ আজও চেষ্টা করছে টিকিয়ে রাখার।অনেকে এই বিষয়ে কাজও করেছেন অনেক।যেমন জঙ্গীপুরেরে অধ্যাপক ডঃ দিলীপ ঘোষ আলকাপ নিয়ে অনেক লেখালিখি করেছেন।ডঃ মহঃ নূরুল ইসলাম তাঁর গবেষণা ও ডক্টরেট ডিগ্রী আলকাপের উপর।এই আঙ্গিক কে কিছু লোক সংস্কৃতিবীদ ও কিছু শিল্পি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছে আজও।১৯৯৯ সালে ঝাঁকসুর গ্রাম ধনপতনগরে ঝাঁকসুর স্মরণ অনুষ্ঠান ও আলকাপ টিকিয়ে রাখার জন্য আলোচনা সভা হয় তুলসী চরণ মন্ডলের উদ্যোগে যেখানে উপস্থিত ছিলেন ডঃ ফনী পাল, পুলকেন্দু সিংহ,শক্তিনাথ ঝাঁ ও ঝাঁকসুর অন্তরঙ্গ শিল্পিরা।১৯৯৯ সালের দিকে কান্দী থানার মহলন্দী গ্রামের মানুষের উদ্যোগ কিছু সরকারি সহযোগীতায় ২ দিনের কর্মশালা হয়,সেখানে মাহাতাবের দল সহ আটটি দল অংশগ্রহন করেন।সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্বাঞ্চল লোকসংস্কৃতি কেন্দ্রের অধিকর্তা সহ বিভিন্ন লোকসংস্কৃতিবীদ। একই রকম কর্মশালা হয় লালগোলাতেও। কিন্তু আস্তে আস্তে লোকসংস্কৃতির এই আঙ্গিক আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।তবে শুধু টেলিভিশন, মোবাইল,বিনোদনের অন্য মাধ্যমকে দায়ি করা যায় না।পাশাপাশি সরকারের সদিচ্ছা, পক্ষপাতীত্ব,পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি অনেকাংশে দায়ি।শেষ করা আগে কিছু কথা না বললেই নয়,আমাদের বাস্তুতন্ত্র যেমন একে অপরের পরিপূরক ঠিক তেমনি বাংলা ও বাঙালির সব লোকসংস্কৃতি, লোকগান,লোকনাট্য, লোকাচার ও একটি সামাজিক বাস্তুতন্ত্র এরাও একে অপরের পরিপূরক। একেগুলোক শুধু লোকসংস্কৃতি নয় আমাদের পূর্বপুরুষের শৈশব,যৌবন,স্মৃতিচারণ;এছাড়াও এগুলি জাতি ও জনসমাজের ছোট ছোট উপাদান যা আমাদের বাঁচিয়ে রাখা উচিত।এই ভাবে এক এক করে বিলুপ্ত হয়েগেছে,ঢেকির গান,নিড়ানির গান,বাঁশ কাটার গান আরো আরো কত যা গুনে শেষ করা যাবে না। এইভাবে আমরা আমাদের বাঙালি সত্ত্বাকে হারিয়ে ফেলছিনা তো?
আরও পড়ুনঃ এবার অভিযুক্তের কাঠগড়ায় বিগ বি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584