এপারে নবদ্বীপ ওপারে মায়াপুর কিন্তু পারাপারের ঘাটগুলির পরিকাঠামোর দৈন্যদশা

0
384

শ্যামল রায়,নবদ্বীপঃ

নবদ্বীপ শহরে প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে শয়ে শয়ে পর্যটক বেড়াতে আসেন। নবদ্বীপ শহরে একাধিক মঠ মন্দির দেখা শেষ করে পর্যটকরা ফিরে যান নবদ্বীপ সংলগ্ন মায়াপুর ইসকন মন্দিরে। আর ইসকন মন্দির দর্শন করতে গেলে নবদ্বীপ থেকে গঙ্গা পার হতেই হবে যাত্রীদের। অথবা ঘুরপথে নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ সেতু হয়ে কৃষ্ণনগর হয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ধুবুলিয়া হয়ে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে আসতে হবে। তাই কম সময়ের মধ্যে দ্রুত মায়াপুর ইসকনের পৌঁছাতে হলে নবদ্বীপ ফেরিঘাট পার হতেই হবে।এই ফেরিঘাটে যাত্রীদের জন্য নেই কোনো লাইফ জ্যাকেট। যাত্রীদের অভিযোগ বর্ষাকালে গঙ্গা নদী যেভাবে ফুলে ফেঁপে ওঠে তাতে ভয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়। আর যেভাবে নৌকা চলাচল করে থাকে তাতে ভয় যেন পিছু ছাড়ে না। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই নৌকা পারাপার হয়ে মায়াপুর ইসকনের মন্দির দেখতে যেতে হয় সকলকে। তাই দেশ বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের দাবি নৌকা পারাপার করতে হলে লাইফ জ্যাকেট অবশ্যই থাকা দরকার আছে। অথচ যাত্রীদের জন্য কোন লাইফ জ্যাকেট নেই।

নিজস্ব চিত্র

শুধু নবদ্বীপে নয় বড়ালঘাট ফেরিঘাটেও নিদয়াঘাটেও যাত্রীদের জন্য নৌকো পারাপারে কোন লাইফ জ‍্যাকেট নেই।বর্ষার মুখে জোরালো দাবি উঠেছে যাত্রীদের তরফ থেকে যে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রত্যেকটি নৌকোয় যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেটের প্রয়োজন আছে।শুধু তাই নয় আজপর্যন্ত নবদ্বীপ বড়াল ঘাট ফেরিঘাটের পরিকাঠামোর যথেষ্ট উন্নয়ন এখনো পর্যন্ত চোখে পড়েনি। যেটি ব্যবস্থা চালু হলেও কিংবা লঞ্চ পরিষেবা চালু হলেও উঠানামার ক্ষেত্রে যাত্রীদের চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
পর্যাপ্ত সিঁড়ির ব্যবস্থা নেই কাঁচা বাঁশের মাচার উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়‌
তাই বর্ষাকালে দেখা যায় যে অনেক যাত্রীকেই কাঁচা রাস্তায় পিছলে জলের মধ্যে পড়ে যেতে দেখা যায় বহু যাত্রীকে। বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ক্ষেত্রে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় নৌকায় উঠানামায় কিংবা লঞ্চে উঠতে।
তাই নবদ্বীপ কিম্বা মায়াপুরে আসা পর্যটকদের দাবি নবদ্বীপ বড়াল ঘাট ফেরি ঘাটের উন্নয়ন আরো পাকাপোক্ত করা দরকার। বড়াল ঘাট পার হয়ে হুলোর ঘাটে ও একই অবস্থা।

নিজস্ব চিত্র

হুলোর ঘাটে এখনো কাঁচা রাস্তা দিয়েই নৌকা পারাপার যাত্রীদের উপরে উঠতে হয়। নবদ্দীপ স্বরুপগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে যারা মায়াপুরে ঘাটে আসেন তাদের ক্ষেত্রে আরো চরম সমস্যা দেখা যায়।
তাই বর্ষার মুহূর্তে ফেরিঘাটের ঢালাই রাস্তার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় যাত্রী সাধারণের। তবে নবদ্বীপ বড়াল ঘাট ফেরি ঘাটের যা অবস্থা কিংবা হুলোর ঘাটের যা অবস্থা তাতে খুব দ্রুত পরিকাঠামোর আরো উন্নয়ন দরকার বলে মনে করছেন দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের সাথে স্থানীয় যাত্রী সাধারণ।
পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা যেমন নেই তেমনি নেই কোন প্রতীক্ষালয় বা পানীয় জলের ব্যবস্থা। এই ফেরিঘাট পেরিয়ে মায়াপুর যেতে হলে যদি কারো বাথরুমের প্রয়োজন হয় এখানে মিলবে না।
তাই দীর্ঘদিন

তাই দীর্ঘদিন ধরেই যাত্রীসাধারণের মনে জমে থাকা ক্ষোভ ধীরে ধীরে উগরে দিচ্ছেন পরিকাঠামোর উন্নয়নে দাবিতে। এই প্রসঙ্গে নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি আরতি দেবনাত ও জেলা পরিষদের সদস্য হরিদাস দেবনাথ জানিয়েছেন যে ধীরে ধীরে স্বরুপগঞ্জ নবদ্বীপ ফেরিঘাট এর উন্নতি ঘটছে। নবদ্বীপ পৌরসভার চেয়ারম্যান বিমান কৃষ্ণ সাহা জানিয়েছেন যে ফেরিঘাটের উন্নতি যথেষ্ট ঘটছে উন্নয়নের মধ্যে পড়ে লঞ্চ পরিষেবা । আগামী দিন এই ফেরিঘাটের আরও উন্নতি ঘটানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেটের বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here