নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর দিনাজপুরঃ
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমশ গবেষণায় উন্নতি লাভ করছে।এইবার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় পেল রাজ্য সরকারের “স্বপ্নের গবেষণায় বাংলা” প্রকল্পের অন্তর্গত একটি প্রজেক্ট।রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ডঃ তাপস পাল ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মুখ্য প্রজেক্টটি নিয়ে এলেন।তাপস বাবুর সহকারী হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সঞ্জীব কুমার এবং গাজোল মহাবিদ্যালয় ভূগোল বিভাগীয় প্রধান তন্ময় সরকার।তাপসবাবু ও সঞ্জীববাবু কয়েক মাস আগেই কলকাতায় গিয়ে প্রজেক্ট সম্বন্ধে ‘ডেমো’ দিয়ে এসেছেন।গবেষণার বিষয়ে ডঃ তাপস পাল বলেন- “ডিপার্টমেন্ট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (জি এস টি) পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমোদিত এই প্রজেক্টের অধীনে দুজন জুনিয়র রিসার্চ ফেলো কে নেওয়া হবে।প্রত্যেক রিসার্চ ফেলো প্রতি মাসে ১৮ হাজার ৭০০ টাকা করে ফেলোশিপ পাবেন।”
প্রসঙ্গত তাপস বাবু ইতিমধ্যে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে অনেক কাজ করেছেন এবং প্রস্তাবনা দিয়েছেন। ইউনাইটেড নেশনস-এ গিয়ে তিনি এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।সেই প্রশিক্ষণকে বাস্তবায়িত করতে তিনি রায়গঞ্জ শহরকে ‘গ্রীন ও সাসটেইনেবল সিটি’ হিসেবে তুলে ধরার জন্য রায়গঞ্জ পৌরসভার কাছে তার প্রস্তাব দিয়েছেন।বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পৌরসভার ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানেও সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সম্বন্ধে প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয়তার ধারণা দিয়ে এসেছেন। তাপসবাবু আরোও জানান, কেন্দ্রীয় মানব উন্নয়ন মন্ত্রকের অন্তর্গত একটি প্রজেক্ট পেতে পারেন বলে খবর আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রজেক্টটির ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে।ডঃ সঞ্জীব কুমার বলেন “আমরা চাই গবেষণার মাধ্যমে আমরা যাতে আরোও নতুন কিছু দিতে পারি।” প্রসঙ্গত সঞ্জীববাবু আমেরিকার জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আট বছর অধ্যাপনা করেছেন। সঞ্জীববাবু আরও বলেন- “রাজ্য সরকার অনুমোদিত এই প্রজেক্টটি আগামী তিন বছরের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসার শংকর ঘোড়ই জানান, “এই প্রজেক্টটির অনুমোদন পত্র রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে গিয়েছে।অধ্যাপক তাপস পালের তত্ত্বাবধানে এই প্রজেক্টটি পেল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়।প্রজেক্ট এর যা দাম তার কিছু অংশ এসে গিয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করা হবে প্রজেক্টটি সুসম্পন্ন করার জন্য।” বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ডঃ দুর্লভ সরকার বলেন-“ ডঃ তাপস পাল ও ডঃ সঞ্জীব কুমার দুই অধ্যাপকের কৃতিত্বেই বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রজেক্টটি পেল। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগেও এই রকম প্রজেক্ট এসেছে।অধ্যাপকরা নানান বিষয় সম্বন্ধে প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করেন এবং তা বিভিন্ন ফান্ডিং এজেন্সি যেমন আই সি এস এস আর ইউজিসি, এ আই সি টি ই প্রভৃতি বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাঠায়।সেই প্রস্তাবিত প্রজেক্ট রিপোর্টগুলো যদি অনুমোদিত হয় তবে প্রয়োজনীয় টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ডঃ তাপস পাল ও সঞ্জীব কুমার আধুনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছেন।আধুনিক যুগের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রজেক্টটি ভীষণ উপযোগী ।“
আরও পড়ুনঃ ফেসবুক পোস্টে সংবাদমাধ্যমকে গুজব না ছড়ানোর আবেদন নিখোঁজ নোডাল অফিসারের স্ত্রীর
তাপস বাবু এবং সঞ্জীববাবুকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই। পাশাপাশি আমরা চাই যাতে বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিভাগের অধ্যাপকরাও এই ধরনের প্রজেক্ট ও গ্রান্ট নিয়ে আসুক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি সাধন করুক।” তাপসবাবু ও সঞ্জীববাবুর লক্ষ্য রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপিত করা এবং সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছেন তাঁরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584