নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
এ যেন আস্ত সেই কবি রবীন্দ্র- নজরুলের সম্প্রীতির সোনার বাংলা। যেখানে নজরুলের ভাষার ছোঁয়া পেয়ে হয়ে উঠেছে- “মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু- মুসলমান।”
সকালের নতুন সূর্য ওঠা মাত্রই মন্দিরের ঘন্টা ধ্বণি ও মসজিদের আজানে ভরে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেঁজুরীর হিজলী শরিফ। ব্রাহ্মণ ও ইমামের কোলাকুলিতে বইতে থাকে সম্প্রীতির হাওয়া।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরীর হিজলী মানেই ঐতিহ্যবাহী মসনদীআলা ও ভগবতী মায়ের মন্দির। আর এই দুইয়ের মেলবন্ধনে আজও খেঁজুরী মসনদী আলার বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে হিন্দুদের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান। যেখানে মেতে ওঠেন কুরবান, আনসার ও সিদ্ধার্থরা।
যা আগামী ২১শে মার্চ থেকে খেজুরীর এই মসনদীআলাতে শুরু হচ্ছে বিশেষ ধর্মসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যা এখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের এক শ্রেষ্ঠ উৎসব হিসাবে পরিচিত। আর এই উৎসবে এখন মুসলমানদের সাথে সাথে মেতে উঠেছেন হিন্দুরাও।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খাস মহলবাসীদের হাতে খসড়া ও পড়চা তুলে দিল ভূমি সংস্কার দপ্তর
ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, প্রায় ৯০০ বছর আগে তৎকালীন বাংলার খেঁজুরিতে প্রতিষ্ঠিত হয় “হিজলি মসনদ-ই-আলা”। এরপর ধীরে ধীরে প্রচার লাভ পায় এবং সকলের মনে এক বিশ্বাসের জায়গা হিসেবে স্থান করে নেয়।
বর্তমানে ময়নাগড়কে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করার পর বহু দূর-দূরন্ত থেকে পর্যটক এখানে ভ্রমণের জন্য আসেন। ভ্রমণে এসে এভাবে হিন্দু-মুসলমানের মেলবন্ধন দেখে মুগ্ধ হয় সকলে।
আরও পড়ুনঃ ক্ষুদে পড়ুয়াদের করোনা নিয়ে সচতেন করতে স্কুলে মহকুমা শাসক
ঐতিহাসিক শহর তমলুক থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই হিজলি মসনদ-ই-আলা।বর্তমানে এই মসনদ-ই-আলাতে ধর্মসভাকে কেন্দ্র করে এখন হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে এখন ব্যাপক উৎসবের রব।
গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিবছর এখানকার এই ধর্ম সভায় অংশগ্রহণ করেন। এবং তারা মেতে ওঠেন হিন্দু-মুসলিমের প্রাণের মিলন উৎসবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584