সুদীপ পাল, পূর্ব বর্ধমানঃ
প্রতি সোমবার আধ ঘণ্টা ধরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ অফিসার ও কর্মীদের সঙ্গে মন খুলে নাচছেন রোগীরা। না এটা কোন জলসা নয়। চিকিৎসার জন্য এটি একটি নয়া ব্যবস্থা। সকলেরই মনে হচ্ছে এইভাবে কি এমন চিকিৎসা চলছে? ‘ডায়াবিটিস’ নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত হাঁটার প্রয়োজন।
হাঁটার সুযোগ সেভাবে পাওয়া যায় না। তাই সপ্তাহে এক দিন ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে’ গিয়ে কমপক্ষে আধ ঘণ্টা ‘চিকেন ডান্স’ করতে হবে। এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করেছে গলসি ১ ব্লকের রামগোপালপুরের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
আরও পড়ুনঃ জল সংকট মেটাতে সুন্দরবনের পড়ুয়াদের পাশে বেসরকারী সংগঠন
পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অধীনে রয়েছে রামগোপালপুর ও উচ্চগ্রাম উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু এটা কি ধরণের নাচ? হাত ছড়িয়ে, খুব আস্তে আস্তে লাফিয়ে পাখিদের মতো নাচকে ‘চিকেন ডান্স’ বলে।
ইতিমধ্যে এখানে তিনশো তিয়াত্তর জন ডায়াবিটিস ও হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীর চিকিৎসা চলছে। রোগীরা বলছেন, প্রথম প্রথম এভাবে নাচতে খুব লজ্জা করত। কিন্তু এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। আর এই ডান্স করে নিজেকে খুব ভালো লাগছে। শরীরও সুস্থ থাকছে।
বিএমওএইচ শেখ ফারুক হোসেন বলেন, “ডায়াবিটিস বা প্রেসার নিয়ন্ত্রণে দিনে কমপক্ষে ত্রিশ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। যাঁরা কোনও রকম শ্রম করেন না বা হাঁটার সময় পান না তাঁদের জন্য চিকেন ডান্স খুবই উপকারী।’’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584