গৌড় মালদায় থার্মোকল বর্জন,শালপাতা বিতরণ

0
136

উমার ফারুক,নিউজ ফ্রন্ট,মালদা,২জানুয়ারি:-একদা বাংলার রাজধানী মালদার গৌড় ছিল ইতিহাস প্রসিদ্ধ যা আজ ও ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত।তবে প্রাচীন গৌড়ের সে জৌলুস আজ আর নেই।সেকাল আর একালের মধ্যে সময়ের ব্যবধানে ঘটছে নানান পরিবর্তন।বর্তমানে সরকারি উদাসীনতা ও জনমানসের অবহেলার কারণে গৌড় তার যশ ও জৌলুস খুইয়েছে অনেকাংশে।তাই নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন থাকা সত্বেও ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে খুব একটা আকর্ষণের বা চর্চার বিষয় নয় গৌড়।তার কারণ, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থা ও নিরাপত্তার অভাব ।তবু ও বছরের কিছু কিছু সময় মালদা ও পার্শ্ববর্তী জেলা গুলি থেকে অনেক লোকজন আসেন পিকনিক করতে ।বিশেষ করে ২৫ শে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে লাগাতার পিকনিক। তবে এই বছর গৌড়-এ ভিড় চোখে পড়ার মতো বিশেষ করে ১লা জানুয়ারি জন প্লাবন ঘটে, পুলিশকে হিমশিম খেতে হয় যানজট নিয়ন্ত্রণে ।

প্রতি নিয়ত মানুষ চলার পথে ব্যবহার সুবিধার জন্য কত কিছু ব্যবহার করে থাকে,না অজানার কারণে অথবা জেনেও অনেক সময় ভুল করে থাকে।ব্যবহারের সুবিধার জন্য আজকাল বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয় থার্মোকলের পাতা যা ডাক্তারদের মতে স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর।শুধু ডাক্তারই নয় পরিবেশ বান্ধব নয় এই থার্মোকলের পাতা।যার ব্যাবহারে কিডনির পাথর, চর্মরোগ এমন কী মারণ ব্যাধি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।এই পাতা মাটির উর্বরতাও কমিয়ে দেয়।এই বিষয়ে বছরের প্রথম দিনেই জিও গাইডেন্স নামক একটি স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা সারাদিন জনসচেতনতা প্রচার অভিযান চালান।সেই সঙ্গে থার্মোকলের পাতা বর্জন ও তার কুপ্রভাব সম্পর্কে পিকনিক করতে আসা মানুষদের সচেতন করেনএবং বিলি করেন প্রায় ২০০০ শালপাতা। প্রচার অভিযানে নেতৃত্বদেন সংস্থার কর্ণধার জাহিরুদ্দিন আহমেদ ও দেওয়ান আব্দুল গণি কলেজের অধ্যাপক ও সমাজসেবী ডঃ মহঃ ইসমাইল।জাহির বাবু এই দিন বলেন দীর্ঘদিন ধরে থার্মোকল ব্যবহারের কারণে লিম্ফোমা লিউকেমিয়া জাতীয় ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।এছাড়াও ব্যবহারকারীর ফুসফুস,লিভার, কিডনি,চোখ,ত্বক ও নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি হয়।
শুধু মানব শরীরই নয় আমাদের পরিবেশও মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এই থার্মোকলের প্রভাবে।থার্মোকল বায়োডিগ্রেডেবল না হওয়ায় কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি কমিয়ে দেয়।পরিত্যক্ত থার্মোকলকে আগুনে পোড়ালে ভয়ঙ্কর পরিবেশ দূষণ সৃষ্টিকারী এবং ওজনস্তর বিনষ্টকারী CFC গ্যাস তৈরি হয়।
অধ্যাপক ইসমাইল বলেন প্রচারের মূল উদ্দেশ্য ছিলো মানুষকে সচেতন করা ও থার্মোকল পাতার কুপ্রভাব সর্ম্পকে অবগত করা ।যাতে ছেলে মেয়েরা থার্মোকলকে বর্জন করেন এবং গ্রামের মানুষদের ও সচেতন করেন।
প্রচারে অংশগ্রহণ করা দুই কলেজ পড়ুয়া অর্পণ বসাক ও দিবাকর সরকার জানান আজ আমারা প্রায় ২০০০ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি।আশা করি তাদের মাধ্যমে ২লক্ষ থেকে ২ কোটি মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছাবে।এই ভাবেই আমরা সকলে মিলে একটি থার্মোকল মুক্ত পরিবেশ গড়বো।এই প্রচার অভিযান চলে দুপুর ১২. ৩০মিনিট থেকে বিকেল ৪. ০০ পর্যন্ত।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here