পল্লব দাস,বহরমপুরঃ
বাঙালি উৎসব প্রিয় একটি জাতি।দুর্গোৎসব হোক বা খুশির ঈদ নতুন জামা কাপড় কেনা তাদের কাছে খুব আনন্দের।ভারতীয় উপমহাদেশে খাদি কাপড় একটা বড় জায়গা নিয়ে আছে । অনেক যুগ আগে থেকেই খাদিবস্ত্র এদেশে থাকলেও মহাত্মা গান্ধীর হাত ধরেই জনপ্রিয় হয় খাদির কাপড়।
আমরা চরকা হাতে গান্ধীজির সুতকাটার ছবি দেখেছি।১৯২০ সালে গান্ধিজির নেতৃত্বে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম কার্যকর রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে ওঠে এটি।ব্রিটিশদের পণ্য বর্জন করে ভারতবাসী।অন্য সব কিছুর মতো বিদেশি বস্ত্র বর্জন করা হয়েছিল ।ফলে সে আন্দোনের গতি ধরেই শুরু হয় যায় খাদি কাপড়ের নবজাগরণ ।
এখন যদি প্রশ্ন আসে ‘খাদি’ কি ?’খাদি’ শব্দটি এসেছে খদ্দর থেকে।এটি একটি গুজরাটি শব্দ।সুতো কেটে নিজের হাতে কাপড় তৈরি করতে হয় আর কোনো শক্তি চালিত যন্ত্র ব্যাবহার হয়না। সুতো কাটা থেকে কাপড় বোনা, রঙ করা ইত্যাদি প্রতিটি পর্যায় হাতে করা হয়।হ্যান্ডলুম এর সাথে এর পার্থক্য হলো হ্যান্ডলুম কাপড়টা হাতে বানানো হয় সুতোটা নয়,কিন্তু খাদি কাপড় ও সুতো দুটোই হাতে বানানো হয়।খাদি বস্ত্রশিল্প অসামান্য একটি উৎপাদন ও বিপণন পদ্ধতি।গ্রামীণ অর্থনৈতিক ও কুটিরশিল্প এর দ্বারা অনেকটাই সচলতা পেয়েছিল।একটুকরো কাপড়ের সঙ্গে দেশপ্রেমের যে নজির ভারতবর্ষে শুরু হয়েছিল ১৯২০ সালের দিকে সময়ের হাত ধরে এতটা এগোনোর পর আজ কিছুটা পিছনের দিকে চলে যাচ্ছে।খাদি বস্ত্র শিল্প।
মুর্শিদাবাদ সিল্ক তথা খাদি বস্ত্র শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলছেন এইসব জিনিস তৈরি করতে লাগে অনেক শ্রম আর সময় তাই বাজারের দর কষাকষিতে হয়ত পিছিয়ে পড়তে হয় কিন্তু খাদির মান আজও অক্ষুন্ন।এর কদর যারা জানে তারা অবশ্যই এর প্রাপ্য মূল্য দেন।কেউ কেউ মনে করছেন আসল খাদির জায়গা নিচ্ছে ‘নিব’।কৃত্তিম উপায়ে তৈরি নকল খাদি।যে প্রশ্নটি সর্বৈব প্রাসঙ্গিক সেটা হলো, দেশে কি কোনো খাদি আছে?বোনা হচ্ছে? হলেও সেটা কত শতাংশ?ব্যাবসায়িক দিক থেকে বিচার করলে নতুন করে খাদি বস্ত্র শিল্পের দিকে তাকাতে হবে।উদ্যোগ নিতে হবে বাংলা তথা ভারতের এই ঐতিহ্যে খাদিবস্ত্র শিল্প।
আরও পড়ুনঃ ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দুর্গন্ধ জলে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584