শুভব্রত সরকার, মুর্শিদাবাদঃ
আসতে চলেছে বাঙালির সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপুজো। শরতের আকাশে কাশফুলের মেলা বাঙালির মনে নিয়ে আসে অনাবিল আনন্দ। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এক সুতোয় বাধা পড়ে এই মিলন উৎসবে। পুরানে কথিত আছে মা দূর্গা হলেন দেবী পার্বতীর এক উগ্র রূপ। যিনি মানুষকে সব সংকট থেকে মুক্তি দেন। মা দূর্গার দশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী রূপটি সর্বাধিক জনপ্রিয়।
মঙ্গলকাব্যে বলা হয়েছে, শিবজায়া হিমালয়দুহিতা পার্বতী সপরিবারে পিতৃগৃহে অবস্থানের আনন্দময় দিন গুলি দুর্গাপূজা হিসাবে পালিত হয়। বিগত বছর করোনা আবহে পুজোর জাকঁজমকে কিছুটা ভাটা পড়লেও এই বছর করোনা বিধি মেনে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন পুজো কমিটি তৈরি হচ্ছে মাকে স্বাগত জানাতে। বিভিন্ন জায়গায় সমাজের প্রতি বিভিন্ন বার্তা দিতে সেই রূপে সেজে উঠছে পুজোর মন্ডব। তাই মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন পুজোকমিটির উপস্থাপনা ঘুরে দেখল নিউজ ফ্রন্ট।
প্রথমেই নিউজ ফ্রন্ট পৌঁছে গিয়েছিল অয়েসবাগ সার্বজনীন দুর্গা উৎসব পুজো কমিটির কাছে। সেখানকার পুজো উদ্যোক্তারা জানালেন, এবছর করোনা অতিমারীতে প্রথম সারির যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে তাদের এবারের থিম ‘মুক্তমহি’। তাদের মন্ডপ সজ্জায় ব্যবহার হচ্ছে প্রকৃতি বান্ধব দ্রব্য। এরপর নিউজ ফ্রন্ট ঘুরে দেখল চুনাখালী সার্বজনীন কমিটির পুজো মণ্ডপ। যদিও সেখানে এখনও মণ্ডপ তৈরির কাজ অনেকটাই বাকি রয়েছে। চুনাখালী সার্বজনীন পুজোর কমিটির ভাবনায় এবার উঠে এসেছে রাজস্থানের জয়পুরের আদলে তৈরি এক রাজবাড়ী।
ভাটপাড়া মিলনী ক্লাবের পুজো এবার হবে সাবেকিয়ানায়। বিষ্ণুপুর ‘আমরা কজন’ ক্লাবের মাতৃবন্দনায় এবার থাকছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। বিষ্ণুপুর অনামী ক্লাব তাদের ভাবনায় তুলে ধরেছে বাঁশের চটা ও চট দিয়ে তৈরি এক গ্রাম্য মন্দির। বাবুলবোনা সার্বজনীন এবছর নিয়ে আসছে প্লাস্টার অফ প্যারিস নির্মিত প্রাচীন ভারতীয় মূর্তি শৈলী।
আরও পড়ুনঃ কাশিমবাজারের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম করুণাময়ী কালীবাড়ির বর্তমান ও অতীত
শুধু মুর্শিদাবাদবাসীর কাছে পুজো কমিটিগুলির একটাই আবেদন। সকলে যেন করোনা বিধি মেনেই এই মিলন উৎসবে মেতে ওঠেন। মা দশভুজার আশীর্বাদে যেন কেটে যায় সমস্ত অন্ধকার। দূর হয় সমস্ত অশুভ শক্তি। মা দুর্গার কাছে এটাই প্রার্থনা পুজো কমিটিগুলির।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584