সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

মূল চাষ যদিও ধান।কিন্তু সেচ এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণে ধান চাষে সমস্যা দেখা যায়। তাই বিকল্প চাষ হিসেবে এমন একটা করার কিছু কথা তারা ভাবছিলেন যেটাতে একদিকে যেমন লাভজনক হবে অন্যদিকে এত সমস্যা থাকবে না।সেই ভাবনা থেকেই কাজ শুরু তারপর সেটিই হয়ে উঠল বিকল্প রোজগারের এক নতুন সম্ভাবনা।
কাঁকসার বিদবিহার, মলানদিঘি পঞ্চায়েতের বাড়ির মহিলাদের একাংশ জানাচ্ছেন,বাড়িতে মাশরুম চাষ করে তাঁরা স্বনির্ভর হচ্ছেন এবং গ্রামীণ এলাকায় এই চাষ অত্যন্ত লাভজনক।গৃহবধূদের বক্তব্য,যেহেতু আমাদের প্রধান চাষ ধান।তাই ধান চাষের সময় আমরা নানাভাবে সেই চাষে সহযোগিতা করি। কিন্তু তারপর বছরের বেশিরভাগ সময় আর চাষের কাজ থাকে না।সুতরাং সময়ের ব্যবহার করতে এবং বিকল্প আয়ের সন্ধান করতেই এই মাশরুম চাষের সূচনা।
আরও পড়ুন: মাশরুম চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোচবিহারে
ব্লক কৃষি দপ্তর ও এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে মাশরুম চাষের উদ্যোগী হয়েছে।ব্লক কৃষি আধিকারিকরা বলছেন, মহিলাদের হাতে কলমে এই চাষের খুঁটিনাটি শেখানো হচ্ছে।’উষর মুক্তি প্রকল্প’ একশো দিনের কাজের মাধ্যমে মহিলাদের দিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করা হয়েছে।কিন্তু তৈরি তো হচ্ছে এর বাজার কি রকম?এই প্রশ্নের উত্তরে তারা জানাচ্ছেন,প্যাকেটজাত মাশরুম কে বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন পন্থা নেওয়া হয়।
এই এলাকার ‘স্টেট রুরাল লাইভলিহুড মিশন’ এর তরফ এলাকার বেশকিছু মহিলাকে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে।তাছাড়া এই কাঁকসা অঞ্চলে মাশরুম জনপ্রিয় হচ্ছে ধীরে ধীরে। মলানদিঘি বাজারে নিয়মিত বিক্রি হচ্ছে মাশরুম। যা থেকে আশার আলো দেখছেন গৃহবধূরা। ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে এই চাষ হবে এটুকুই তাঁদের আশা এখন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584