সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
বর্ধমানের রাজ পরিবারের কূলদেবী। দেবী চণ্ডিকা এখানে দীর্ঘদিন ধরে পূজিত হয়ে আসছেন। মূর্তি নয় এখানে তিনি পটেশ্বরী দুর্গা। এক দিকে মারাঠা বর্গীদের হানা ও অন্য দিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্রমাগত আক্রমণে বর্ধমান রাজ পরিবারের অবস্থা তথৈবচ। এই অবস্থায় রাজ পরিবারের যুবরাজ তেজচাঁদের বাবা বর্তমান রাজা ত্রিলোকচন্দ্রের তখন মৃত্যু হয়। রাজ্যর এই ঘোর দুর্দিনে রাণি বিষণকুমারী শুরু করলেন পটেশ্বরী দেবীর পুজো।
প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রতিমায় রঙের প্রলেপ পড়ে।রাজ পরিবারের এই পুজো বৈষ্ণব মতে হয়। তাই পুজোতে বলির কোনও প্রচলন নেই। পটের দেবী বলে প্রতিমার বিসর্জন হয় না। সারা বছরই রাখা থাকে রাজবাড়িতে। তাই দেবী এখানে নিত্য পূজিতা। দেবীর দশ হাতে দশ অস্ত্র। পটের দেবী সপরিবারে এক ছাদের তলায় এখানে বিরাজ করেন। ইতিহাসের শিক্ষক তরুণ আঁড়ি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজত্ব চলে যায় বর্ধমানের রাজাদের। এই সময় দুর্গাপুজো বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফের চালু হয় এবং আজও নিরবচ্ছিন্নভাবে চলে আসছে। আগের মত সেই চাকচিক্য নেই তবে রাজ পরিবারের পুজো বলে আজও ভিড় জমান বর্ধমান সহ আশেপাশের মানুষরা।
আরও পড়ুনঃ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উদযাপিত গান্ধী জয়ন্তী
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584