মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
গোল্লারে ভাই ছুটের দৌড়ে উড়িষ্যাকে হারিয়ে বাংলার জয়। আর এতেই রসগোল্লায় জিআই তকমা পেল বাংলা, জয় বাংলার রসগোল্লা। এই রসগোল্লার জিআই দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি উৎসব হল বৃহস্পতিবার।
এদিন রসগোল্লা দিবস পালন করে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি। রসগোল্লা তুমি কার বঙ্গ উড়িষ্যার দ্বন্দ্ব যখন চরমে উঠে বিতর্ক বাঁধে জগন্নাথ ভোগ না চৈতন্যদেবের ভোগে লেগেছিল ছানার তৈরি মিষ্টি। নথি নিয়ে পণ্ডিতদের বাকযুদ্ধ শেষ পর্যন্ত গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বহু নথি বিশ্লেষণের পর রসগোল্লা বাংলার স্বীকৃতি পায়।
২০১৭ সালের ১৪ ই নভেম্বর রসগোল্লা যে বাংলার তা প্রমাণিত হয়। কিন্তু এর পরেও ফের আদালতের দারস্ত হয় উড়িষ্যা। সেখানেও বাংলার জয় হয়েছে। ১৪ ই নভেম্বর বাংলার রসগোল্লার জিআই প্রাপ্তির দিন। আর সেই এই উপলক্ষে জেলায় জেলায় পালিত হচ্ছে ‘রসগোল্লা দিবস’।
তাই ঘটা করে ১৪ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি জিআই প্রাপ্তির দ্বিতীয় বর্ষ পালন করল। আর সেই লক্ষ্যেই এদিন কোচবিহার রাসমেলা অঙ্গনে সকাল ১১ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত রসগোল্লা খাওয়ানো হল সাধারন মানুষকে।
এদিন কোচবিহারের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের তরফে প্রদীপ বণিক জানান, বাংলা এবং বাঙালি মানেই রসগোল্লা। শুধুমাত্র দেশে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও এই রসগোল্লাকে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন তারা। তাই আজ রসগোল্লার জন্মদিনে রসগোল্লা খাওয়ানো হল আমজনতাকে।
পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির কোচবিহার জেলা সম্পাদক সঞ্জীব বনিক জানিয়েছেন, আমজনতাকে মিষ্টি খাইয়ে আমরা রসগোল্লা দিবস পালন করলাম। বাঙ্গালীর খাদ্য তালিকায় রসগোল্লা একটি বড় ভূমিকা নেয়। শেষ পাতে মিষ্টির রেওয়াজ তো বাংলার সংস্কৃতির মধ্যে। তাই রসযুদ্ধে বাংলার জয় এক অন্য মাত্রা এনেছে বাঙ্গালীর জীবন চর্চাতেও।
প্রমান হয়েছে নবীন চন্দ্র দাসের ছানার তৈরি গোল্লাই প্রথম রসগোল্লা হিসাবে প্রকাশ পায়। তাই মিষ্টি শুভেচ্ছা জানিয়ে রসগোল্লা দিবসে সকলকে সামিল হওয়ায় খুশী মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584