পল্লব দাস,বহরমপুরঃ
আজকাল ব্যস্ত জীবনে বিনোদন একটা বড় রিলিফ।ফিল্ম, টেলিভিশন সব আছে আর আছে প্রযুক্তি নির্ভর জীবনযাত্রায় সোশ্যাল নেটওয়ার্ক
একটা বড় ভূমিকা নিয়েছে। আর তাকে মাধ্যম করেই গড়ে উঠছে শর্টফিল্ম।কলকাতা থেকে দুশো কিলোমিটার দূরের বহরমপুরে এমন কিছু স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফিল্ম নির্মান হয়ে চলেছে।মফস্বল শহরে এরকম উদ্যোগ কতখানি ইতিবাচক দিক সৃষ্টি করে সেটা জানতেই কথা বলা হলো বহরমপুরের
তরুণ স্বল্পদৈর্ঘ্যের চিত্র নির্মাতাদের সাথে।
কলকাতার মতো সুযোগ এবং সুবিধা কোনটাই এখানে নেই। অনেকটা হাইলাইট করতে হবে এই শিল্পকে।কেন শর্ট ফিল্ম তৈরি করা?এই প্রসঙ্গে মেকারদের বক্তব্য অনেকটাই এক রকম ,যে স্বল্প সময়ে একটা বিষয়কে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়।নতুন মুখদের সুযোগ দেওয়ার সাথে সাথে একটা শৈল্পিক অগ্রগতি হয়ে থাকে। অর্থনৈতিক ভাবে কতটা লাভজনক বা এর ভবিষ্যৎ কি?এই প্রশ্ন করতে কিছু ইতিবাচক দিক উঠে এলো,বেশির ভাগ শর্টফিল্ম নির্মাতারাই জানালেন,তারা নিজের পকেট থেকে খরচ করেই ফিল্ম বানাচ্ছেন। সপ্তর্ষি সরকার একটি বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজে পড়ান উনি শখে শর্টফিল্ম তৈরি করেন যদিও ওনার কিছু ছবি আন্তর্জাতিক শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছে।
উনি বললেন যে এরকম কাজ করে এগিয়ে যেতে চায়, জানতে হবে ভালো কাজ করতে পারলে পরবর্তী সময়ে ভালো জায়গায় কাজ করার সুযোগ আসবেই।অন্যদিকে কৌশিক চন্দ্র দে উনি শর্টফিল্ম মেকিং এর দুটি দিক এর কথা বললেন এক শুধু ইউটিউবেই রিলিজ করার জন্য আর একটা বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে পাঠানোর জন্য কন্টেন্ট নির্ভর যা সমাজ কে একটা বার্তা দেয় বা কোনো বিশেষ দিক তুলে ধরে তাও আবার ‘টি টুয়েন্টি ফরম্যাট’ এ। মানে সময় প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তাও বিষয় ভিত্তিক একটি সুন্দর উপস্থাপনা গল্পশৈলী।রাহুল বাবু নাটক জগতের একজন লোক উনি এখনকার প্রজন্মের শর্টফিল্ম নির্মাতাদের কিছুটা হুজুগ বলে আখ্যা দেন ।উনি বললেন এখন যেহেতু ক্যামেরা আর এডিটিং সফটওয়ার সবার আয়ত্তের মধ্যে চলে এসেছে তাই যে কেউ একটা স্বল্পদৈর্ঘের ছবি বানিয়ে ফেলছে আর তার বেশির ভাগেরই বিষয়বস্তু দুর্বল এগুলো শুধুমাত্র ইউটিউবে পরিচিতি বৃদ্ধিতেই সক্ষম।যদিও ভালো কাজ হচ্ছে,তবে সেটা কম।আর একদিকে রয়েছে স্কুল ছাত্র সৌমব্রত বসু তার মতে শর্টফিল্ম তৈরি একটা হবি,কয়েকজন বন্ধুর ছোট স্বপ্ন গুলোকে জোড়া লাগিয়ে একটা কিছু করার উদ্দেশ্য । তার মতে ইউটিউব একটা বড় প্লাটফর্ম নিজেদেরকে প্রমান করা আর কাজ গুলোকে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।তবে সেটা থেকে টাকা পয়সা উপার্জনটা একটু কঠিন সেটা মানলো সবাই।মূলত একটা কিছু করে নিজের কাজকে শিল্পকে দেখানটাই উদ্দেশ্য।কারো কাছে সেটা ইউটিউবের মাধ্যমে পরিচিতি আর হাত পাকানো আর কারো কাছে ফেস্টিভ্যাল আর বেটার কাজের সুযোগের জন্য।কখনো আবার বন্ধুদের সাথে এমনি তৈরি করে ফেলা একটা শর্টফিল্ম। বহরমপুরের এইসব নির্মাতাদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করে একটা বিষয় পরিষ্কার যে একটা ভোর অপেক্ষা করছে একটা নতুন দিগন্তে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584