নিজস্ব সংবাদদাতা,চোপড়াঃ
চোপড়ার ঘিরনীগাও অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চোপড়ার ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ। সোমবার সন্ধ্যায় চোপড়ার ঘিরনীগাও অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম কংগ্রেস জোট সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে তিন জন কংগ্রেস কর্মী আহত হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। যদিও পুলিশ লাঠি চার্জের কথা স্বীকার করেনি।ওই ঘটনায় পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলুল হক সহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে। তার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস চোপড়ার ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। এদিন অবরোধের জেরে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পরে যান চলাচল। যানজটে নাজেহাল দূরপাল্লার যাত্রীরা। জাতীয় সড়কে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভে সরব হয়ে ওঠে অবরোধকারীরা। তবে ঘটনায় ঠিক কজন গ্রেফতার হয়েছে তা সঠিক জানা নেই বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জসোওয়াল। এখনো পুলিশ বাহিনী থানায় ঢোকেনি। তাই এখনই পরিষ্কার কিছুই বলা যাচ্ছে না। ঘটনার জেরে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
চোপড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অশোক রায় জানান, এদিন ঘিরনী গাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তারা স্মারকলিপি দিতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। পরে ওই ঘটনায় যুক্ত না থাকলেও তাদের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা জাকির আবেদিন জানান, তাদের দলের এগারোজন কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে এবং ধৃতদের মুক্তির দাবিতে তারা এদিন বিক্ষোভে সামিল হন। পরে ফজলুল হক সহ দুইজন নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হলে অবরোধ বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584