ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে বাড়িতে বাড়িতে শিক্ষকরা, প্রশংসনীয় উদ্যোগ মত অভিভাবকদের

0
81

নিজস্ব সংবাদদাতা, বসিরহাট:

করোনা অতিমারি পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় গত ২১ নভেম্বর থেকে রাজ্যে চালু হয়েছে নবম- দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন পাঠন। দীর্ঘ লকডাউনে একটা অংশের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার ভরসা ছিল অনলাইন। প্রতিমাসে মিড ডে মিল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক নিয়ে গেছেন অভিভাবকরা। নভেম্বর মাসে বিদ্যালয় থেকে দেওয়া হচ্ছে ফাইনাল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক। বিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের ও নবম শ্রেণীর উপরের ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে ফেরাতে বসিরহাট মহকুমার ব্রহ্মানন্দ বিদ্যাভবন হাইস্কুলের শিক্ষকরা এদিন গ্রামে গ্রামে গিয়ে পৌঁছান।

Duare teacher

স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান, সহ শিক্ষক আলি আকবর, শমীক দাস, পার্শ্ব শিক্ষক মিহির বিশ্বাসরা এদিন ঘোড়ারসের আদিবাসী পাড়া থেকে দেবরাজপুর জাফরপুর প্রভৃতি গ্রামে গিয়ে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের হাতে অ্যাক্টিভিটি টাস্ক তুলে দেন এবং নবম শ্রেণীর উপরের ছাত্রদের পুনরায় সরকারি নিয়ম মেনে স্কুলে আসার আবেদন জানান।

Duare Shikkhok

শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এক অভিভাবকের বক্তব্য, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলে মেয়েরা দীর্ঘদিন পড়াশোনার বাইরে, নতুন করে পড়াশোনার মধ্যে ফিরিয়ে আনা এই কাজটা খুব সহজ নয়। শিক্ষকদের সঙ্গে আমরা অভিভাবকরা সচেতন হলে তবেই একাজ সহজ হবে। শিক্ষকরা যেভাবে ছাত্র ছাত্রীদের নিজের সন্তানের মতো করে বুঝিয়ে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

teacher student

শিক্ষক আলি আকবর বলেন, লকডাউনের এই দীর্ঘ সময়ে ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার মাধ্যম হল হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোন কল। আমাদের বিদ্যালয়ের একটা বড়ো অংশের অভিভাবকদের দারিদ্রতার কারণে অনলাইনে ছেলেমেয়েদের ক্লাসের জন্য অ্যানড্রয়েড ফোন রাখা তো অনেক দূরের কথা, মাসে মাসে রিচার্জ করে ফোন চালু রাখাটাই অনেক কষ্টসাধ্য। সেই সমস্ত ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে এবারের নভেম্বর মাসের ফাইনাল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পৌঁছে দিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের উদ্যোগে স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা ছাত্র ছাত্রীদের তালিকা তৈরি করে গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছেছি আমরা। শিক্ষকদের কাছে পেয়ে নবম শ্রেণীর উপরের অনেক ছাত্র ছাত্রীই পরবর্তী দিন থেকে স্কুলে আসার অঙ্গীকার করেছেন।

আরও পড়ুনঃ থ্যালাসেমিয়া রোগীদের পাশে দাঁড়াতে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের রক্তদান শিবির

আশা করছি এই উদ্যোগের ফলে একটা অংশের ছাত্র ছাত্রী ড্রপ আউট হওয়া থেকে আটকাবে। এছাড়া পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে আরও বেশকিছু ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িতে যাওয়া হবে বলে হবে জানিয়েছেন শিক্ষকগণ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here