নদী কাটছে গ্রাম, অসহায় মানুষগুলোর পাশে শিক্ষকেরা

0
28

নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ

মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের নদী ভাঙন কবলিত এলাকার অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করলেন শিক্ষকরা।

community | newsfront.co
সাহায্য প্রদান। নিজস্ব চিত্র

কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে সামশেরগঞ্জে। প্রতিদিন নদীর তীরবর্তী মানুষ আতঙ্কে প্রহর গুনছে। ধানঘরা, শিবপুর,প্রতাপগঞ্জ -এ ভাঙনে ৭২ টি বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় এবং প্রায় ৪০০ টি পরিবারের বাড়ি ভাঙার পর শুক্রবার সন্ধ্যার ব্যাপক বৃষ্টিপাতে ভাঙনে অতিরিক্ত শক্তি যোগান দেওয়ায় রাত থেকে, ব্যাপকহারে ভাঙন দেখা দেয় ধুসরীপাড়া গ্রামে।

ফলে উক্ত গ্রামে একটি পুরোনো পদ্মা মন্দির সহ অনেকের বাড়ি গঙ্গার অতলে তলিয়ে যায়। গ্রামগুলোতে বিরাজ করছে এখন শুধু হাহাকার,কান্নার রোল ও একটু সম্বল পওয়ার আশায় বাড়ি ভাঙার ব্যস্ততা। সেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে গত ৬ সেপ্টেম্বর সামসেরগঞ্জের ধানঘরা, শিবপুর, প্রতাপগঞ্জ এলাকায় পঞ্চগ্রাম আই এস এ হাই স্কুলের শিক্ষকগণ গঙ্গা ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে তালিকা তৈরি করেন।

আরও পড়ুনঃ সামশেরগঞ্জে ভাঙনঃ গঙ্গাগর্ভে বিলীন ঐতিহ্যবাহী মন্দির, ঘর হারিয়ে অসহায় মানুষের হাহাকার

সেই উপলক্ষে আজ রবিবার সকাল ৯ টা নাগাদ সামসেরগঞ্জের ভাঙন কবলিত ধানঘরা, শিবপুর, প্রতাপগঞ্জ ও ধুসরীপাড়া এলাকায় ৫০০ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন শিক্ষকেরা। উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক ড. মেহবুব ঈসা, সহ শিক্ষক গোলাম কাদের, সঞ্জয় চৌধুরী, কল্যাণ মির্ধ, এস এন আলি, উত্তম হালদার, আসাদুল হক, বানি ইসরাইল, সুদীপ্ত কুমার রায়, হাসানুজ্জামান, স্বপন ঘোষ, ব্যাপী ঘোষ এবং পার্শ্ববর্তী আশ – সাবিন মিশনের শিক্ষক মোঃ ইজাজ আহামেদ, পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তরুণ কুমার দাস, গৃহ শিক্ষক আনিকুল ইসলাম ও লাল্টু সেখ।

পঞ্চগ্রাম আই এস এ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড.মেহবুব ঈসা বলেন, তাদের একটি তহবিল আছে, প্রত্যেক বছর সেই তহবিল থেকে দুর্যোগ কবলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্য করেন তারা। সেই মতো আজকে এই নদী ভাঙন কবলিত ক্ষতিগ্রস্তদের তারা সাহায্য করেছেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here