নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বাবা ওই বিদ্যালয়েরই এক শিক্ষককে রাতে ফোন করে কড়া ভাষায় হুমকি দিলে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর আজ অন্যান্য সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকারা মিলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ নথিভুক্ত করলেন।এই ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুর থানার লাওদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।বিদ্যালয়ে মোট পাঁচ শিক্ষক শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মুনমুন সামন্ত মন্ডল।সহকারী শিক্ষক শিক্ষিরা প্রায়শই তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলতেন। বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল,খাতাপত্র সবেই গড়মিলের অভিযোগ তুলে নানা সময়ে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে তিতিবিরক্ত স্থানীয় অভিভাবকরাও। শিক্ষক শিক্ষিকারা পড়াশুনা ডকে তুলে শুধুই নিজেদের সমস্যা নিয়ে অবর বিদ্যালয়,পরিদর্শক থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সব জায়গাতেই ছুটেছেন।
এরই মাঝে মেয়ের হয়ে মুনমুনদেবীর বাবা বাসুদেব সামন্ত এক রাতে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অরূপ ষাটের মোবাইলে ফোন করে নানা রকম হুমকি দেন।অরূপবাবু বলেন,আমাকে বলাহয় স্কুল বা বাড়ি যাওয়ার পথে উনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের দেখে নেবেন।প্রথমটায় বিষয়ে গুরুত্ব না দিলেও এখন তা ঘোরতর আকার নিয়েছে। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা মিলে আজ দাসপুর থানায় একটি সাধারণভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে এ বিষয়ে মুনমুন দেবি বলেন,আমি জানতামই না যে বাবা এমন ফোন করেছেন। তাছাড়া আমি বাবাকে ফোন করতেই বলিনি। বিদ্যালয়ে আমার সহকারীরা মোটেও সহযোগিতা করেন নি। অভিভাবকরা বারে বারে অভিযোগ তোলেন বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন নিয়ে। আমি নিজেও দেখেছি শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রসালো গল্প না হয় মোবাইলে কথোপকথন বা ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপে বিভোর থাকে। এর জেরে বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের অন্য স্কুলে ভর্তিও করেছে।তবে ঘাটাল মহকুমায় এই প্রথম কোনো প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এইভাবে সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্ষিপ্ত হয়ে একেবারে থানায় গেলেন।ঘটনা যাইহোক এধরনের ঘটনা শিক্ষার ক্ষেত্রে একেবারেই নিন্দনীয়।এবিষয়ে স্থানীয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কেন এতদিন কোনো পদক্ষেপ নেননি তাও দেখার।
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের সুবিধামতো তৈরি নিয়মে চলছে বিদ্যালয়
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584