নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
দলমা থেকে আসা প্রায় চল্লিশটি দাঁতাল হাতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত ধেরুয়া ,চাঁদড়া, মনিদহ ও কঙ্কাবতী অঞ্চল এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।
হাতির হামলায় ইতিমধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছে,সম্প্রতি একজন প্রাণ হারিয়েছেন । সেই সঙ্গে প্রতিদিন মাঠে গিয়ে মাঠে থাকা পাকা ধান নষ্ট করে দিচ্ছে হাতির দল।
যার ফলে দুর্গাপুজোর সময়ে ওই এলাকার বাসিন্দারা কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বন দফতরের কাছে হাতিগুলিকে অন্যত্র তাড়ানোর জন্য বারবার আবেদন করেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনের আগেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ঝাড়খন্ডে
গ্রামবাসীদের আবেদনক্রমে শনিবার রাতে বন দফতরের কর্মীরা হুলা পার্টির সদস্যদের নিয়ে হাতি তাড়ানোর জন্য কনকাবতি এলাকায় যায়। ওই এলাকা থেকে হাতির পালকে যখন তাড়িয়ে কংসাবতী নদী পার করাচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা ও হুলা পার্টির সদস্যরা তখন কংসাবতী নদীর অপর প্রান্তে ঝাড়গ্রাম জেলার চুবকা এলাকার বাসিন্দারা হাতি তাড়াতে তাদের বাধা দেয়।
তাদের দাবি হাতি এই এলাকায় তাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করবে। যার ফলে কংসাবতী নদীর মাঝখানে শনিবার সারারাত ৪০ টি দাঁতাল হাতিকে নিয়ে বিপাকে পড়েন বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা। অবশেষে শনিবার রাতথেকে রবিবার পর্যন্ত হাতিগুলি কংসাবতী নদীর মাঝে আটকে থাকে।
আরও পড়ুনঃ জলঙ্গিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ সিপিআইএমের
অবশেষে রবিবার সকালে হাতির দল ফের ফিরে আসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গুড়গুড়ি পাল থানা এলাকায়। যার ফলে মনিদহ, পলাসিয়া,কনকাবতি সহ পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
যার ফলে বনদফতরের আধিকারিকরা ও চিন্তায় রয়েছেন। হাতির দল ফের ফিরে আসায় ওই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584