সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
ষাঁড়াষাঁড়ির কোটালে নোনা জলে প্লাবিত হবার আতঙ্কে দিনগুনছে দক্ষিণ সুন্দরবনবাসী। দক্ষিণ সুন্দরবনে সাতটি ব্লকে বাঁধ বাঁধার কাজ বেশ কয়েকটি জায়গাতে শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন মাটি, বাঁশ, খুঁটি দিয়ে নির্মিত রিং বাঁধ ঘিরে।
নামখানা ব্লকের নারানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চতুর্থ ঘেরী,ঈশ্বরীপুর দুটো পয়েন্টে ভেঙেছে ৫০০ মিটার বাঁধ। হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর জল গ্রাস করছে একের পর একগ্রাম। দায় সারা কাজে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। বর্ষা নামলে তার সঙ্গে শুরু হয় দায় সারা কাজ। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ পিছু ছাড়েনা প্রত্যন্ত এলাকাবাসীদের।
দক্ষিণ সুুন্দরবনে সাতটি ব্লকে বাঁধের অবস্থা সঙ্কটজনক। ভাঙা বাঁধের আতঙ্ক ও দুঃস্বপ্ন ভুলতে পারছেনা অনেকে। ফলে সাগর থেকে পাথর প্রতিমা ,নামখানা থেকে কাকদ্বীপ ,রায়দিঘি সর্বত্র এলাকার মানুষ এখন দিন গুনছে ষাঁড়াষাঁড়ির আতঙ্কে।
চলতি বছরে আমপান, তারউপর কোটালের নোনাজল কপালে ভাঁজ ফেলেছে সুন্দরবনবাসীর। বিজেপির দাবি, বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হলে চোখ নাচে শাসক দলের। ফলে হওয়া বাঁধ কখনো বন্ধ আবার কখনো দায় সারা রিং বাঁধ। ইতি মধ্যে বিজেপির মতো আন্দোলন শুরু করে ব্লক কংগ্রেসও। বিরোধীদের দাবি, কাঠমানি দুর্নীতিতে ভরতি শাসকদল ।
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে অব্যাহত গঙ্গা ভাঙন! তলিয়ে গেল ৮টি বাড়ি
ফলে সমস্যায় পড়েছে সুন্দরবনবাসী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী। বাঁধের কাজ হওয়ার পর আর আতঙ্ক থাকবেনা সুন্দরবনে। দাবি সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584