মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পঞ্চায়েতকে জানিয়েও রাস্তা সংস্কার হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে নিজেরাই এলাকায় টাকা তুলে রাস্তা তৈরি করার উদ্যোগ নিল। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার পাটছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটছড়া গ্রামের ১২ নং সংসদ এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য কালিশংকর রায়কে প্রায় এক বছর ধরে একটি রাস্তা সংস্কারের কথা বলা হয়। কিন্তু তিনি বারে বারে তাদের ঘুরিয়ে দেন। এরকম করে মাসের পর মাস কেটে যায় তবু আর ওই ৫০০ মিটার রাস্তা হয় না। যার ফলে এলাকার মানুষ বেশ অসুবিধায় পড়ে।
বর্ষা আসলে রাস্তার উপর এক হাঁটু জল জমে যায়। তাই বারবার অনুরোধ করার পরেও শুধুই মেলে প্রতিশ্রুতি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ নিজেরাই টাকা তুলে ওই ৫০০ মিটার রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে।
আরও পড়ুনঃ ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক কৃষক সংগঠনগুলির
তাদের আরও অভিযোগ, “ভোট এলেই শুধু ভোট দাও, রাস্তা ঘাট করে দেব। ভোট নেওয়া হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের কথা তারা ভুলে যান। তিনি এখন বিজেপি করুক আর তৃণমূল করুক, আমরা তাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছি, রাস্তার করার কথা বললে তিনি পালিয়ে বেড়ান। আর বলে হবে হবে। এভাবে চলতে পারে না। তাই আমরা যখন আমাদের রাস্তা নিজেরাই করছি তাহলে তো পঞ্চায়েতের দরকার হয় না। আগামী দিনে পঞ্চায়েত ভোট এলে আমরা ভোট দেব না। ভোট বয়কট করব।”
আরও পড়ুনঃ ডেউচা–পাচামি কয়লা প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ শুরু করল বীরভূম জেলা প্রশাসন
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, “ওই পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল থেকে জয়ী হওয়ার পর এখন বিজেপির সাথে গোপন আঁতাত করে রয়েছে। এলাকার উন্নয়নের সমস্ত কিছু পেলেও তিনি তা খরচ করতে চাইছেন না। এমনি কি ওই এলাকার যে রাস্তার কাজ সেটা স্কিম পাশ করা হয়েছিল। তারপর সেই স্কিম তিনি নাকি ডিলিট করে দিয়েছেন।
তাই এলাকার মানুষ যখন রাস্তার কাজের জন্য আবেদন করে তখন তিনি বলেন হবে দুই একদিনের মধ্যে। এমন করতে করতে প্রায় ১ বছর কেটে গেল তবু রাস্তার কাজ করাতে পারেনি। তাই আজ এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে নিজেরা টাকা পয়সা দিয়ে ওই রাস্তা করাচ্ছে বলে শুনেছি। এই বিষয়টা আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েছি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ব্যাপারটা দেখবেন বলে।”
পাটছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জলি বর্মণ বলেন, “শুনেছি ওই এলাকার মানুষের ৫০০ মিটার রাস্তা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতের কাছে দাবি রেখেছে। এলাকার পঞ্চায়েত যদি কোন উদ্যোগ না নেন বা স্কিম তৈরি করে না নিয়ে আসেন তাহলে আমার কি করার আছে! যদিও বারবার আমরা কালি বাবুকে এবিষয়ে বলেছি, তিনি শুধু বাহানা দিয়ে গেছে।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কালি শংকর রায়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584