ওয়েবডেস্কঃ-
যুদ্ধের ধরণ পরিবর্তীত হওয়ায় আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ,তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোনো বড় যুদ্ধ হয়নি।কিন্তু বিশ্ব জুড়েই চলছে ঠাণ্ডা লড়াই। পৃথবীর বড় বড় শক্তিগুলো ব্যস্ত তাদের ক্ষমতার দম্ভ প্রদর্শনে।বিশ্ব এখন দাঁড়িয়ে বারুদের উপর। অনেকাংশেই চলছে অবাধ যুদ্ধ লীলা । মানবতা সেখানে বিপর্যস্ত। পৃথিবীর এক বৃহদাংশের মানুষ আজ রিফিউজি। রিফিউজি ক্যাম্প গুলোর দূরাবস্হা অবর্ননীয়।সেখানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শৈশব।যুদ্ধের ভয়াবহতা ছিনিয়ে নিয়েছে শিশুর শৈশবে আনন্দ, চাওয়া-পাওয়া সবকিছুই। ধ্বংসলীলা,রক্ত, গুলি-বোমার আওয়াজ, ক্ষুধা আজ তাদের নিত্য সঙ্গী ।পরিস্থিতির চাপে তাদের আচরণেও এসেছে বড়সড় পরিবর্তন- হঠাৎ যেন তারাও হয়ে উঠেছে বড়।
তাইতো দেখা যাচ্ছে এক রিফিউজি শিশু বাড়িয়ে দিচ্ছে নির্মল নিষ্কলঙ্ক হাত। সে নিজে বেশির ভাগ সময়ে থাকে ক্ষুধার্ত, বোঝে ক্ষুধার জ্বালা। তাইতো ফটো সাংবাদিক যখন এগিয়ে আসছে তার দিকে, তখন সে সাংবাদিকেও ক্ষুধার্ত ভেবে এগিয়ে দিয়েছে তার হাতের খাবারের অবশিষ্টাংশ।
ঘটনাটি অন্য কোথাও নয়, ঘটেছে সিরিয়ার এক শরণার্থী শিবিরে। শিশুর এহেন আচরণে সাংবাদিকও হতবাক। প্রথমে কিংকর্তব্যবিমূঢ় থাকলেও সম্বিত ফিরতেই তার চোখ হয়ে ওঠে ছলছল। ক্যামেরা বন্দি করার পর ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ঘরে ফেরার পরই সেই ছবি সে পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় গত ২৭ শে মে। মূহুর্ত্তের মধ্যেই ভাইরাল হয় ছবিটি।
সাদা-গোলাপী ফ্রক পরা উস্কোখুস্কো চুলের শিশুটি খাবারের থালা নিয়ে বসে আছে মাটিতে। গায়ের পোষাকটিও নোংরা, মুখে এখনো আঘাতের চিহ্ন, খালি পায়ে বসে। হয়তো সে তার আপনজন হারিয়ে, শরণার্থী শিবিরে কারুর দয়ায় আছে বেঁচে। শিশুটির এই ছবিটি ইতিমধ্যে বিশ্বের মানব হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। ছবিটি নিয়ে চলছে আলোড়ন।
তার এখন ভালোভাবে খেলার বয়সই হয়নি। খেলা তো দুরে থাক ইতিমধ্যে সে যেন এক কঠোর বাস্তবের সম্মুখীন।হয়ে উঠেছে সে হঠাৎ বড়; যুদ্ধই কেড়েছে তার শৈশব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584