করোনা আবহে মাথাভাঙা বিডিও অফিসে বার্ষিক অডিট,ক্ষুব্ধ প্রতিনিধিরা

0
85

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ যখন চূড়ান্ত আকার নিয়েছে। আর সেই করোনার ফলে দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতির হাল ফেরাতে আনলক প্রক্রিয়া চালু হয়েছে।

BDO OFFICE | newsfront.co
জমায়েত ৷ নিজস্ব চিত্র

তবে সংক্রমণের চেইন ভাঙতে দফায় দফায় লকডাউন চলছে দেশজুড়ে।আর সেই সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত প্রকার সভা-সমিতি ও জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছে। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হতে বারণ করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ করোনা পজিটিভ কালিয়াগঞ্জ থানার টাউনবাবু

govt office | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

আর এই পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশকে কার্যত অমান্য করে মঙ্গলবার মাথাভাঙা ২নং বিডিও অফিসে মাথাভাঙা মহকুমার ৩টি ব্লকের অন্তর্গত ২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৩টি পঞ্চায়েত সমিতি ও মহকুমা শাসকের দফতরের মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পের (১০০ দিনের কাজ) বার্ষিক অডিট আয়োজনকে কেন্দ্র করে জমায়েতের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার জন প্রতিনিধি সহ কর্মচারীরাও।

আরও পড়ুনঃ বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশােধনাগারের শৌচালয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী বিচারাধীন এক বন্দি

bdo | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এদিন এবিষয়ে মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের জোরপাটকী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমল কুমার অধিকারী আক্ষেপ করে বলেন, যেখানে সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা একেবারে ছোট হলঘরে ঘিঞ্জি অবস্থায় অডিটের কাজ চলছে ।

এতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকতে পারে। পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট তপন রায় বলেন, এত গুলো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং কর্মচারীরা মিলে একটি ঘরে গাদাগাদি করে অডিটে অংশগ্রহণ করাতে একটু সমস্যা হচ্ছে। যদি আলাদা আলাদাভাবে অল্প সংখ্যক লোক নিয়োগ করা হতো তাহলে ভালো হতো।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বভারতীর ঘটনা নিয়ে সরব বিখ্যাত বাউল

এ প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মণ বলেন, বর্তমানে করোনা চলছে এই সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত সবাইকে, এই অডিট যদি একসাথে একটি ঘরে হয়ে থাকে এত জন মানুষ নিয়ে তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। প্রশাসনের উচিত ছিল কম সংখ্যক গ্রাম পঞ্চায়েত গুলোকে নিয়ে আলাদা আলাদা ঘরে অডিট করা। উন্নয়নমূলক কাজও যেমন করতে হবে তেমনি করোনা মোকাবিলায় সমস্ত সরকারি নিয়ম নীতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে ৷

এবিষয়ে মাথাভাঙা ২নং ব্লকের বিডিও রজতরঞ্জন দাস জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমার অফিসের হলঘরে অডিট হয়েছে। তবে আমার একটি মাত্র হলঘর বিকল্প কোন হলঘরের ব্যবস্থা নেই। তাই ওই হলঘরেই অডিট হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোন রকম মন্তব্য করতে চাননি বিডিও সাহেব।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here