সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
আষাঢ় মাসে শুক্লা দ্বিতীয়াতে হয় রথযাত্রা। পুরী,মাহেশ,ইস্কনের মতো পাল্লা দিয়ে রথ যাত্রা করেন দক্ষিন সুন্দরবনের সাগরদ্বীপের মানুষ।রথযাত্রাকে উৎসব মুখর করে তোলেন দ্বীপবাসি।
২০০ বছর আগে দ্বীপ সৃষ্টি হওয়ার পর জন জীবন গড়তে শুরু করে এই দ্বীপে।কপিলমুনির মন্দির ঘিরে মাহাত্ত জাগে দ্বীপ ঘিরে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ অভাব অনটন ভরা দ্বীপবাসিদের বারো মাসে তেরো পার্বন উৎসব পালন হয় ঠিকই।কিন্তু রথ উৎসব আজ দ্বীপবাসির কাছে অন্যমাত্রা নিয়েছে।
হিন্দুদের তেত্রিশ কোটি দেবতাদের মতো বিশ্বাস আর ভক্তিতে পূজিত হন আষাঢ়ের শুক্লা দ্বিতীয়াতে জগন্নাথ সুভদ্রা বলরাম।এই দ্বীপে ৯ টি গ্রামপঞ্চায়েতে দুই লক্ষাধিক মানুষ দুশোর বেশি রথ করে থাকেন।বড় ছোট মাঝাড়ি সব রকমের রথ নিয়ে রথ যাত্রায় মাতেন তবে সবার চেয়ে মনকারা রথ করেন গঙ্গাসাগর গ্রামপঞ্চায়েতের কীর্তনখালি ও বিষ্ণুপুর গ্রাম।
আরও পড়ুনঃ রথযাত্রা উপলক্ষে বিধায়কের কাজের খতিয়ান প্রকাশ
দুই গ্রাম একত্রিত ভাবে পঞ্চাশটির বেশি রথ করে। প্রতিটি রথে থাকে জগন্নাথ সুভদ্রা ও বলরাম।দুই গ্রামের দশ হাজারেরো বেশি মানুষের বাস।কৃষিকাজের উপর জীবিকা নির্বাহ করে। গ্রামে একাধিক উৎসব থাকলেও রথযাত্রাকে উৎসব মুখর করেন গ্রামের প্রবীন নবীনেরা। কীর্তনখালি বিষ্ণুপুর ভাই ভাই মিলন সংঘ তিন বছর ধরে করছে রথযাত্রা।
আগে ছোট করে হলেও গ্রামের মানুষের সহযোগে রথের রুপ পেয়েছে ১৮ ফুট লম্বা।৯ টি চুরা দ্বারা সম্পূর্ণ লোহা দিয়ে গঠন হয় রথ।এই রথকে ঘিরে গ্রামের প্রবীন নবীনরা আরো পঞ্চাশটি রথযাত্রা করে থাকেন।সাতদিন ধরে চলে উৎসব।এই রথ উৎসব ঘিরে চলে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চলে বস্ত্রবিতরন,রক্তদান শিবির।
শুধু কীর্তনখালি বিষ্ণুপুর নয় বাগবাজার চেমাগুড়িতে রথ ঘিরে চলে পুরস্কার বিতরন।রুপসজ্জার পাশাপাশি রথের পরিকাঠামোগত দিক বিচার করে চলে পুরস্কার বিতরন।রথযাত্রা ঘিরে নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাটো। সাধারন মানুষের কথা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত গুলি।দ্বীপের রথ যাত্রা ঘিরে উদ্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584