নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ
হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর তদন্তে নেমে গলায় ফাঁস লাগানো দড়ির খোঁজ শুরু করেছে সিআইডি। পাশাপাশি, দেবেনবাবু মোহিনীগঞ্জে যে সমবায় ব্যাঙ্কের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সেখানকার সব নথি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন সিআইডি আধিকারিকরা।
এদিন সিআইডি আধিকারিকরা যে দোকানের বারান্দা থেকে বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে, বালিয়ামোড়ের সেই দোকান মালিককে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে। স্থানীয়দের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে এসে ভিসেরা সহ বিধায়কের লুঙ্গি, জামা সব সংগ্রহ করে নিয়ে যায় সিআইডি।
সিআইডি সূ্ত্রে খবর, বিধায়ক কাণ্ডে ধৃত নিলয় সিংহ সাত লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন মোহিনীগঞ্জের বালিয়া কৃষি সমবায় সমিতি থেকে। গত মঙ্গলবার মালদহের ইংলিশবাজারের বাসিন্দা নিলয় সিংহকে সিআইডি গ্রেফতার করেছে। তবে আরও এক অভিযুক্ত মাবুদ আলি এখনও পলাতক বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত জেলবন্দী কবি ভারভারা রাও
বড়বার বালিয়া কৃষি সমবায় সমিতিতে আড়াই দশক ধরে ম্যানেজার ছিলেন বিধায়ক। লাগাম ছাড়া ঋণ দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন ব্যক্তিকে। রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরে বিধায়কের একটি বাড়ি রয়েছে। সেখানে ভাড়া থাকত নিলয় সিংহ। সেই সূত্রে বিধায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় নিলয়ের। সমবায় সমিতি থেকে নিলয়কে সাত লক্ষ টাকা ঋণ বিধায়ক পাইয়ে দেন বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ করোনা যুদ্ধে প্রাণ হারালেন ৯৯ চিকিৎসক, লাল সংকেত জারি করল আইএমএ
তবে সেই টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে। নিলয় ও মাবুদের সঙ্গে তুলাইপাঞ্জি চালের ব্যবসা করার কথা ছিল বিধায়কের। দুই কোটি টাকাও দু’জনকে দিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত দেয়নি তারা। তদন্তে নেমে এই সব দিক খতিয়ে দেখছেন সিআইডি আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বাড়ি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে গত সোমবার তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। খুন করে নজর ঘোরাতে বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, নাকি তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584