সুদীপ পাল বর্ধমানঃ
উমা বাপের বাড়ি আসেন। তবে আসেন না তাঁর সন্তান সন্ততিরা। তিনি আসেন তাঁর সখীদের সাথে। এমন রেওয়াজ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। কাঁকসা জঙ্গল মহলের মলানদিঘির ঘটক বাড়িতে পুজোর রেওয়াজ এমনই।ঠিক কত সালে প্রতিষ্ঠা হয় মূর্তি বা কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সে ইতিহাস জানা যায় না।কিন্তু এমন মূর্তি কেন তা জানা যায়,মহিষাসুর বধ করার সময় দেবী তাঁর দুই সখী জয়া আর বিজয়াকে নিয়ে যান। এখানে সেই মূর্তির আরাধনা চলছে এখনো।
ঘটক নয় বংশের পদবী ছিল ভট্টাচার্য। হেতমপুরের রাজার কাছ থেকে এই পরিবার ঘটক উপাধি পেয়েছিলেন সংস্কৃত শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তির জন্য। আজও তাল পাতার পুঁথি থেকে পাঠ করা হয় দেবীর ধ্যানমন্ত্র। ছাগ বলি প্রথা এখন নেই তার বদলে চালকুমড়ো এবং আখ বলি হয়। সার্বজনীন পুজো এমনকি পারিবারিক পুজোগুলির থেকেও ভিন্ন, প্রাচীন এই পূজার রীতি। জঙ্গলমহলে এই পুজো ঘিরে রয়েছে মিথ। আর সেই মিথের টানেই মানুষ ভীড় করেন এখানে। মলানদিঘি গ্রাম সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে তাঁদের ঐতিহাসিক এই পুজোর জন্য।
আরও পড়ুনঃ তিনশ বছর ধরে দুর্গার আসনে পূজিত হন মা মনসা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584