নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
উওমেন’স ক্রিশ্চান কলেজ, কলকাতা-র ISPC (The Inclusiveness Studies and Practices Centre) and IQAC (Internal Quality Assurance Cell) -এর তরফে আয়োজিত হল এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। কলেজের অধ্যক্ষা ড. অজন্তা পালের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রীরা যাতে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে ছাত্রজীবন থেকেই সচেতন হতে পারে এবং একই সংগে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের প্রতি দায়িত্ববান হয়ে ওঠে। সেই উদ্দেশ্যেই ISPC- নামের এই বিশেষ সেল গঠন করেন তিনি। এর আগে ২০১৮ সালে রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েস অ্যাকাডেমির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষ কর্মশালাও আয়োজন করেন। ১৩ এপ্রিল ২০২২-এর এই অনুষ্ঠানে কলেজের সমস্ত অধ্যাপকবৃন্দ ও বিভিন্ন ডিপার্ট্মেন্টের ছাত্রীরা সকলেই উপস্থিত ছিলেন।
বিগত দুবছর করোনা অতিমারীর কারণে বাধ্য হয়েই কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ধরণের অনুষ্ঠানগুলি আয়োজন করতে পারেননি। অতিমারি কাটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আবার স্বাভাবিক হতেই ড. পালও আবার তাঁর সামাজিক সচেতনতার কর্মযজ্ঞগুলি শুরু করেন। এবারের অনুষ্ঠানটি শুরু হয় ‘The Humane Judicature’ শীর্ষক এক চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে। কলেজের অডিটোরিয়ামেই প্রদর্শিত হয় এই ছবিটি। ছবির বিষয়বস্তু ছিল, ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা ও আইনের প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে কিভাবে বিভিন্ন জনস্বার্থ মামলা সামাজিক ন্যায় বিচারের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। আজকের নতুন প্রজন্ম যাতে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই এমন একটি ভিন্ন ধারার ছবিকে বেছে নিয়েছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছবির পরিচালক ইতিমধ্যেই এই ধরণের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তথ্যচিত্র নির্মান করেছেন যেগুলি ইতিমধ্যেই বহু সম্মান জিতে নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বি সি এম ইন্টারন্যাশানাল স্কুলের উদ্যোগে বসুন্ধরা দিবস পালন
উওমেন’স ক্রিশ্চান কলেজের অধ্যক্ষা ড. অজন্তা পাল এদিন তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে,এমন এক নতুন বিশ্বের জন্য তাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে যেখানে সমাজের প্রান্তিক মানুষজন থেকে শুরু করে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রতিটি মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার ও সুযোগ পেতে পারে। তিনি এদিন ISPC-র কার্য বিবরণী সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, তাঁর ছাত্রীরা যেন এই সামাজিক পরিবর্তনের অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584