সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
এক দিকে লক ডাউন অন্যদিকে আমপান। মাথায় আকাশ ভেঙে পরেছে দক্ষিণ সুন্দরবনের হাজার হাজার মৎসজীবীদের। সময় মতো জালে ইলিশ না মেলায় ক্ষতির মুখে পড়েছে দক্ষিণ সুন্দরবনের মৎসজীবীরা। সব অবসান কাটিয়ে ভাদ্রমাসের রান্না পূজার প্রাককালে বিশ্বকর্মা পূজা ঘিরে তোরজোর শুরু হয়েছে ইলিশ ধরতে। নাওয়া খাওয়া ভুলে ব্যস্ত ফ্রেজারগঞ্জ হারবার থেকে ডায়মন্ড হারবার,কাকদ্বীপ,নামখানা,রায়দিঘি,পাথর প্রতিমা সাগরদ্বীপের মৎসজীবীরা।
আরও পড়ুনঃ ক্যাম্পাসে খাতা-কলমের প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
চলতি বছরে একাধিক নিম্নচাপে মাছ ধরতে সমস্যায় পড়ে মৎসজীবীরা। চলতি বছরে জম্বুদ্বীপে ঘটে যাওয়া ট্রলার ডুবির ঘটনা ,বকখালির চরে উল্টে যাওয়া দেশি নৌকার ঘটনার আতঙ্ক পিছু ছাড়েনি মৎসজীবীদের। ফলে আতঙ্ক, সঙ্গে নিম্নচাপে প্রশাসনের নির্দেশে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে অসুবিধায় পড়েছে মৎসজীবী মহল। দিনের পর দিন ক্ষতির মুখে পড়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে ট্রলার ব্যবসায়ী থেকে আরৎদারদের। বাদ যায়নি মৎসজীবী শ্রমিক মহলও।
বিগত কয়েক বছর যে ব্যবসা হয়েছে চলতি বছরে সিকি ভাগ ব্যবসা হয়নি বলে দাবি ফ্রেজারগঞ্জ মৎসজীবী শ্রমিক সংগঠনের। দিনের পর দিন বেড়েছে জ্বালানীর দাম । বেড়েছে ট্রলারে থাকা মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার খরচ। বাড়েনি মাছ ব্যবসার আয়। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা দাদন নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে ট্রলার ব্যবসায়ীদের। হাতে পয়সা নেই।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় শিক্ষানীতির প্রতিবাদে এবিটিএ-এর ডেপুটেশন পশ্চিম মেদিনীপুরে
মাছের চাহিদা নেই, যার জেরে মাছ ধরা সঙ্কট হয়ে পড়েছে দক্ষিণ সুন্দরবনে। আমপান সঙ্গে করোনা আবহে লক ডাউন দুর্বিষহ মৎসজীবীদের। সরকারি সাহায্য বলতে শুধু রেশনের চাল। তা আবার অনেকের মেলেনি বলে অভিযোগ। সঙ্কটময় আবহে ত্রাণ নিয়েও অভিযোগ তুলেছে মৎসজীবী মহল।
ভাদ্রের রান্না পূজার প্রাককালে বিশ্বকর্মা পূজা ঘিরে মাছের আশায় দিন গুনছেন সুন্দরবন মৎসজীবীরা।যদি তা না হয় তবে ভিন রাজ্যে রোজগারে পারি দেবে অনেকে। যদি নিম্নচাপ না হয় তাহলে ধরা দেবে সমুদ্রের রুপালী ফসল। মিটবে আর্থিক সঙ্কটের জ্বালা। সে আসাই তাকিয়ে রয়েছে অনেকে। হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটি দিন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584