পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী’র আত্মহত্যার চেষ্টা, স্বামী আত্মঘাতী

0
108

নিজস্ব প্রতবেদক,কালিয়াগঞ্জঃ

স্ত্রীর ব্লাউজ না কিনে মুরগির মাংস কিনে বাড়ি ফেরায় স্বামীর সাথে গন্ডগোলের জেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করল স্ত্রী,আবার স্ত্রীর অবশিষ্ট বিষ পান করে আত্মহত্যা করলো স্বামী।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনি সীমান্তবর্তী গ্রাম বকদুয়ার।  ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে। বর্তমানে স্ত্রী লতিকা রায় ( ২২)  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। মৃত স্বামী উদয় রায় (২৪) এর দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় গ্রামের মানুষ বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি আম বাগানের মধ্যে ।

উদয়ের মৃতদেহ আমবাগানে।নিজস্ব চিত্র

জানা যায়  মৃত উদয় দিল্লীতে শ্রমিকের কাজ করত গত এক মাস আগে সে বাড়ি ফিরে এসেছিল। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার ধনকৈইল হাটে মৃত উদয়  রায় ও তার বাবা কমল রায় গিয়েছিল ধান বিক্রি করতে। সেই সময় লতিকা তার স্বামী উদয় কে বলেছিল হাট থেকে ব্লাউজ কিনে নিয়ে আসতে। কিন্তু উদয় হাট থেকে ব্লাউজ না নিয়ে মুরগির মাংস কিনে নিয়ে আসে। এই নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে  গন্ডগোল লাগে।রাগের জেরে দোকান থেকে বিষ এনে তা খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে লতিকা রায়।

হাসপাতালের বিছানায় লতিকা।নিজস্ব চিত্র

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় লতিকাকে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সোমবার রাতেই। এরপরে স্বামী উদয় রায় তার স্ত্রীর বিষ নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। অধিক রাত পর্যন্ত খোঁজ খবর না পাওয়ায় খোঁজ করতে গেলে   উদয়কে আম বাগানের  মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ।  মঙ্গলবার সকালে ৯ নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয় বৃষ্টি থামার পড় আম বাগানে আম কুড়াতে গেলে গ্রামের লোকেদের নজরে আসে প্রথমে উদয়ের মৃতদেহ। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় খবর দেওয়া হয় কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here