নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামির মধ্যে এক আসামীকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিজপুর থেকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওই আসামির অপর সাগরেদের খোঁজেও পুলিশ জোর তল্লাশি চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী, মিঠুন দাস(৩৫), এবং মনোজিৎ বিশ্বাস ওরফে রাজু (৩১)। দুই জনেই খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ছিল।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলে শুভেন্দু সমস্যা মিটতে চলছে
আরও পড়ুনঃ হাতির হানায় গুড়গুড়িপালে ক্ষতিগ্রস্থ ফসল
সোমবার সন্ধ্যের আগে সংশোধনাগারের উত্তর দিকের পাঁচিল টপকে এই দুই আসামির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছিল মেদিনীপুর শহরে। ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন। সারা মেদিনীপুর শহর জুড়ে শুরু করে পুলিশ নাকা চেকিং এবং জেলার সমস্ত থানা গুলিকে সজাগ করা হয় এর সাথেসাথেই কলকাতার প্রায় প্রতিটি থানা-সহ উল্টোডাঙ্গা ও বারাসতের থানাগুলিকেও অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। অবশেষে ২৪ ঘন্টারও একটু বেশি সময় পরে এল সাফল্য!
মনোজিৎ বিশ্বাস ওরফে রাজুকে উত্তর ২৪ পরগনার বিজপুর থেকে পাকড়াও করল পুলিশ। এদিকে পাঁচিল টপকে যাওয়ার ঘটনায় তদন্তে নেমে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও কারারক্ষী বাহিনী একটি ১৮ ফুটের লোহা ও কাঠ দিয়ে তৈরি আঁকসিটি উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ নিয়ে আসে।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির সহ সভাপতি নির্বাচিত হবার পর শুভেন্দু শুভেচ্ছা জানিয়েছিলঃ মুকুল রায়
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে জেলের ভিতর এত বড় আঁকসি সবার নজর এড়িয়ে কিভাবে তৈরি হলো? এই ঘটনায় সংশোধনাগারের চিপ কন্ট্রোলার ও জেলার সহ তিন জনকে সাসপেন্ড করেছে কারাদপ্তর। দায়িত্বে থাকা ৩ কারারক্ষীকেও শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা দপ্তর।
আর এসবের মধ্যেই বীজপুর থানার পুলিশ কাঁচরাপাড়া চারপোল এলাকা থেকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অবশেষে অভিযুক্ত আসামি মনোজিৎ বিশ্বাস ওরফে রাজুকে গেফতার করল পুলিশ। ইতিমধ্যেই অপর অভিযুক্ত মিঠুন দাস (৩৫) কে হাতে পাওয়ার জন্য জোর জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মনোজিৎ বিশ্বাসকে বুধবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584