জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদঃ
দ্বারকা নদীর একদিকে কান্দি থানা অন্যদিকে খড়গ্রাম থানা, স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এই দ্বারকা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কিন্তু এখনো পর্যন্ত হয়নি সেতু। মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার রামেশ্বরপুর গ্রামের দারকা নদীর উপর এলাকার মানুষের নিজের প্রচেষ্টায় তৈরি করছেন সেতু কিন্তু অর্থের অভাবে এখনো সেই সেতু সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তাই এলাকাবাসীর দাবি সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি পার্থ প্রতীম সরকার বলেন, “কুমাসন্ড পঞ্চায়েতের ওপারে বেশিরভাগ কৃষকদের চাষাবাদ জমি আবার এপারে স্কুল থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা। তাই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রামেশ্বর পুরে একটা সাঁকো করে দেওয়ার কিন্তু ওটা ইরিগেশনের ডিপার্টমেন্ট তাদের অর্থের সংকট থাকায় বিধায়ক অপূর্ব সরকার পঞ্চায়েত সমিতি থেকে আমি এবং কুমার সন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের প্রতিনিধি হকসেদ সেখ আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে তার সঙ্গে গ্রামের মানুষ নিজের সহযোগিতায় সাঁকোর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। বাকিটা খুব তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ করার প্রচেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার কুমারসন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস তারমধ্যে রামেশ্বর পুর, মাদারহাটি, নপাড়া গ্রামের মানুষের স্কুল থেকে শুরু করে রেশন কিংবা নিত্যদিনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে একমাত্র রামেশ্বর এই সেতু। তাদের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ আর বেশিরভাগ কৃষি জমি রয়েছে দ্বারকা নদীর ওপারে নৌওদা, সুন্দরপুর, রতনপুরে। ধান থেকে শুরু করে শাকসবজি ফলে কৃষিজ ফসল নদী পার করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে কৃষকদের।
আরও পড়ুনঃ গতকালের কপ্টার দূর্ঘটনায় মৃত্যু সেনা প্রধানের দেহরক্ষী বাংলার ছেলে সৎপাল রাই-য়ের, শোকস্তব্ধ পরিবার
রামেশ্বর পুরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, “এই সেতু নির্মাণ হলে কৃষিকাজের সুবিধা তো হবেই তার সঙ্গে সঙ্গে নদীর ওপারে নৌওদা, সুন্দরপুর, রতনপুরে গ্রামের মানুষের যাতায়াত থেকে শুরু করে স্কুল, হসপিটাল যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দূর হবে।”
আরও পড়ুনঃ ‘এখনই ভাগ হচ্ছে না মুর্শিদাবাদ, বড়ো সমস্যা গঙ্গা ভাঙন’, প্রশাসনিক বৈঠকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
সেতু সম্পূর্ণ না হওয়ায় চাষবাসের ক্ষেত্রে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাই গ্রামবাসীদের নিজের উদ্যোগে এবং নিজেরা টাকা তুলে বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছে। গ্রামবাসীদের দাবি সরকারিভাবে স্থায়ী সেতু নির্মাণের। তবে গ্রামবাসী এবং পল্লী মঙ্গল সমিতির সম্পাদক আবুল কালাম সেখ জানান, “সাঁকো তৈরির শুরু হয়েছিল তখন কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পার্থ প্রতীম সরকার ২৪ টি হিম পাইপ এবং লেবার বাবদ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে উদ্বোধন করে দিয়েছিলেন এই সেতু এবং কান্দি বিধায়ক অপূর্ব সরকার ও পঞ্চায়েত কিছু আর্থিক সাহায্য করেছিল। তার সঙ্গে গ্রামের মানুষ কাছ থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা তুলে ছিলাম কিন্তু তাতেও সেতু সম্পূর্ণ করতে পারিনি। সেতুর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে যাতে করে সরকারি সাহায্য করা হয় এই দাবি জানাচ্ছি। “
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584