গ্রাম ভাসার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী, উদাসীন প্রশাসন

0
51

সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ

একটা সময় নারায়নগঞ্জ গ্রাম দক্ষিণ সুন্দরবনের অন্যতম গ্রাম হিসাবে পরিচিত ছিল। হাজার হাজার মানুষ বাস করতেন এই গ্রামে।

the locality panic for flood | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

শিক্ষা-সংস্কৃতি, আর্থিক উন্নতিতে দিকপাল হয়ে উঠেছিল এই গ্রাম। দক্ষিণ-পশ্চিম, উত্তর প্রান্তে মুড়িগঙ্গা নদী আর পূর্ব প্রান্ত বরাবর হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী ধরে রেখেছিল নারায়গঞ্জ গ্রামকে। আজ এই গ্রামকে দুই নদী গ্রাস করতে চলেছে।

the locality panic for flood | newsfront.co
শ্রীমন্ত কুমার মালি, কর্মাধ্যক্ষ দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা পরিষদ। নিজস্ব চিত্র

এখানকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল কংক্রিটের বাঁধ তৈরির। বাঁধ না পেয়ে অনেকদিন ধরেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। প্রশাসনিক কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট বিরোধীরা। জায়গা দিয়েও মেলেনি বাঁধ– দাবি গ্রামবাসীদের। বর্তমানে বিঘার পর বিঘা জায়গা নদীর অন্তরালে। ফলে ঘর ছাড়া হয়েছে অনেক পরিবার। এখন বাঁধ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

the locality panic for flood | newsfront.co
ইতিমধ্যেই গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে জল। নিজস্ব চিত্র
bjp leader | newsfront.co
অরুণ কুমার জানা, স্থানীয় বিজেপি নেতা। নিজস্ব চিত্র

নামখানা ব্লকের নামখানা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭২ নং বুথ নারায়নগঞ্জ গ্রাম। স্বাধীনতার আগে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ বাস করতেন এই গ্রামে। ২০০৯ সালে দুঃস্বপ্নের আয়লা বিধংস করে গ্রামকে। মুড়িগঙ্গা, হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর গ্রাসের কবলে পরে গ্রামের বেশিরভাগ অংশ।

আরও পড়ুনঃ পরিত্যক্ত পোটলা ঘিরে আতঙ্ক মাথাভাঙ্গায়

the locality panic for flood | newsfront.co
স্থানীয় বাসিন্দা। নিজস্ব চিত্র

সরকারের প্রশাসনিক বিভাগ রক্ষা করতে পারেনি গ্রামবাসিকে। কেউ বসত বাড়ি ছেড়ে, কেউ বা চাষের জমি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়।

the locality panic for flood | newsfront.co
বেড়ার বাঁধ মানছে না খরস্রোতা নদীর বেগ। নিজস্ব চিত্র

নোনা জলে একটু একটু করে শেষ হতে থাকে নারায়নগঞ্জ। বর্তমানে একশো পরিবার রয়েছে এই গ্রামে। প্রতি বছর কোথাও তিনশো মিটার, কোথাও বা পাঁচশো মিটার, কোথাও আবার তার থেকে বেশি ভাঙা বাঁধ দিয়ে প্রবেশ করছে নোনা জল।

the locality panic for flood | newsfront.co
বস্তা দিয়ে কোনও ভাবে আটকানো হয়েছে স্রোত। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবছর বর্ষা অথবা ভরা কোটালে অনায়াসে জল ঢোকে গ্রামে। প্রশাসনকে জানিয়ে আজও মেলেনি সমাধান। এমনকি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের।

এসব নিয়েই ক্লান্ত গ্রামবাসীরা। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনের হুমকি বিজেপি নেতা অরুণ কুমার জানার। খুব শীঘ্রই কাজের প্রত্যাশা দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার তৃণমূলের অধ্যক্ষ শ্রীমন্ত কুমার মালির।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here