নীরবে রয়ে গেলো কোটি টাকার প্রশ্ন কিন্তু..

0
80

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যংকের প্রায় ১১হাজার ৪০০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল। যার নামে এই অভিযোগ তিনি মুম্বাইয়ের একজন হীরা ব্যবসায়ী। ইনি কোন এলে বেলে ব্যবসায়ী নন। বেশ জবরদস্ত এই হীরে ব্যবসায়ীর ঠিকুজী কুষ্ঠী ইতিমধ্যে খবরে প্রকাশিত হয়েছে। কথাতেই আছে চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা। এখন প্রশ্নটা হলো পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের দক্ষিণ মুম্বাইয়ের যে শাখা থেকে এই জালিয়াতির অভি্যোগ উঠেছে সেখানে তো একদিনে এতবড় ঘটনা ঘটে নি। প্রায় সাত বছর ধরে ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অথচ কেউ কিনা জানতেই পারেন নি। দেশবাসি জানতে পারতেন যদি তিনি আম আদমি হতেন। জানতে পারতেন যদি তিনি কৃষক হতেন।হ্যাঁ দৈনিক গুলোয় বড় বড় বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা এই ঋণখেলাপিদের দেশবাসিকে চিনিয়ে দিতেন। এমনিতেই সাধারণ মানুষকে ব্যঙ্ক লোণ দেয় না। কারণ তাদের ঋণশোধ করবার ক্ষমতার ব্যাপারে বাঙ্কের সন্দেহ আছে।যদিও বা আপনার কপালে শিকে ছেঁড়ে তাহলে আপনার পরিচয়, আপনার ইয়ার্লি ইনকাম সার্টিফিকেট ইত্যাদি জমা দিয়ে যখন আপনি লোনের টাকা হাতে পেলেন তখন দেখা যায় আপনি দেওয়ার আগেই আপনার হয়ে ব্যঙ্ক কর্মী নিজেই তার বকশিস আপনার লোনের টাকা থেকে কেটে নিয়েছে। অনেকসময় দেখা যায় লোণ পাইয়ে দিতে ব্যংককর্মীরাই আপনাকে তাদের কমিশনের কথা বলেন।আপনি সেটা দিতে রাজি হয়ে গেলেই ব্যঙ্কের লোণ আপনার পকেটে ঢুকে যাবে।এগুলো আপনি কোথাও জানান নি। জানাতে ভয় পেয়েছেন। ব্যঙ্ককর্মীর গোসা হলে পাছে যদি আপনার সাধের বাড়ি বানানোর জন্য কিংবা ব্যবসা করবার জন্য ঋণটা হাত ছাড়া হয়ে যায়।ভিক্ষেয় কাজ নেই কুকুর ঠেকাও অবস্থা। অথচ আপনি যেমন ধার করছেন আপনি পেটে দুদিন খাবার দেবেন না কিন্তু লোণ শোধ করবেনই।এটা ব্যঙ্ক জানে। যেমনটা জানত নীরব মোদী কোনদিনই টাকা শোধ দেবে না।বিজয় মালিয়া কোনদিন টাকা ফেরত দেবে না। অথচ তারা লোণ টা পাবে। কারণ তাকে লোণ পাইয়ে দিলে ব্যঙ্ককর্মীরা যারা মোটা টাকা কমিশন পাবেন তারা ভুয়ো কাগজ তার হয়ে জমা দিয়ে প্রমাণ দাখিল করবেন। উনি লোণ পাবেন আর ব্যঙ্ককর্মীরা পেয়ে যাবেন নির্ধারিত কমিশন। আর রাজনীতির দাদারাও সেখান থেকে ভাগ পাবেন। তার মানে আমার আপনার কষ্টার্জিত টাকা যা ব্যঙ্কে গচ্ছিত রেখেছি তা মচ্ছপ করে ওড়াবে এই হীরের টুকরো মানুষ গুলো। ভাবতে পারছেন!! যেমন ভাবতে পারছেন না আজ পি এন বি-র গ্রাহকরা।আর ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে কংগ্রেসের যুবরাজ মোদীর ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন।কিন্তু উনি ভুলে গিয়েছেন সাত বছরের সাড়ে তিন বছর ওনার দল ইতিমধ্যে রাজত্ব করে গিয়েছে। চালাক জেটলি হিসাব পরীক্ষকদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে। কিন্তু কেউই ব্যঙ্কের কাছে কৈফিয়ত চাইছে না কারা নো অবজেকসন সার্টিফিকেট দিল নীরব মোদীকে।গত জানুয়ারিতে ধরা পড়া গোলমালের মধ্যেই তাকে কে সুযোগ করে দিল বিদেশ যাওয়ার?আসলে এই প্রশ্নগুলো তুললে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে যাবে।ছত্রিশ ইঞ্চি ছাতি নিমেষে চুপসে যাবে। তার থেকে নিরব থাকো।বোফর্স কেলেঙ্কারি, কফিন কেলেঙ্কারী, সারদা, নারদা কতকিছু ঘটে গিয়েছে। আরও কত কিছু ঘটবে। কত রাঘব বোয়ালের নাম জড়িয়ে যাবে। আবার একদিন এইসব উত্তেজনা এমনিই থেমে যাবে।পেছন দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।অথচ ইতিহাস বলছে এই ব্যঙ্ক থেকে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর গাড়ির জন্য করা লোণ সুদে আসলে শোধ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। তিনি ও ছিলেন দেশনায়ক। আর আজ??? এগুলো আমরা জানি, আমরা বুঝি। তবু আমাদের চৈতন্য হলো কৈ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here